অাবুল কাশেম সাগর,রামু :

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের হোয়ারিয়াঘোনায় ডাকাতের গুলিতে নিহত নুরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় মূল হোতা মো.অাজিজকে অাটক করেছে রামু থানা পুলিশ। গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় রামু থানার অফিসার ইনচার্জ অাবুল মনসুর’র নেতৃত্বে পুলিশ প্রদর্শক ( তদন্ত) এস.এম মিজানুর রহমান, এস.অাই প্রভাত কর্মকার, এস.অাই ফজুল করিমসহ অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের জানারঘোনা এলাকার ছালেহ অাহমদের পুত্র মো. অাজিজকে তার শ্বাশুর বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ অাবুর মনসুর জানান, গ্রেফতার পরবর্তী অাসামী অাজিজকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করিলে ঘটনায় জড়িত অাছে মর্মে স্বীকার করে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রামু দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের কালা খন্দকার পাড়া নিজের পাড়া স্কুলের ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে ঝোপের ভিতর হইতে জনসাধারণের উপস্থিতে একটি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। ওসি অারও জানান তার বিরূদ্ধে রামু থানায় ১টি ছাড়া বিভিন্ন থানায় খুন, অস্ত্র ও মারামারিসহ মোট ০৫টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ০৪ অাগস্ট রাত ২ টা ১০ মিনিটে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের হোয়ারিয়াঘোনা গ্রামের বাসিন্দা জৈনক মরহুম নুরুল ইসলামের বসত বাড়িতে ৭/৮ জনের ডাকাত দল নুরুল ইসলামের বসত বাড়িতে প্রবেশ করার চেষ্টয় বাঁধা দিলে ডাকাত দলের বন্ধুকের গুলিতে নুরুল ইসলাম নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মোস্তাফা কামাল ০৫ অাগস্ট অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে অাসামী করে রামু থানা মামলা নং ০৩ রুজু করেন।
পরবর্তীতে রামু থানা পুলিশের অভিযানে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সমিতা পাড়া গ্রামের মো. হোছনের ছেলে জাবের ( ২৩), একই এলাকার সোনা অালীর ছেলে কলিম উল্লাহ প্রকাশ মুন্না ( ২৫) ও সিকদার পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মীর অাহমদ প্রকাশ কাওইয়া ( ২৮) কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ অাদালতে প্রেরণ করলে ১৩ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ অাদালতে অাসামী জাবের এর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত মুল হোতা মো. অাজিজ এর হাতে থাকা দেশীয় তৈরী বন্দুক দ্বারা ভিকটিম নুরুল ইসলামকে গুলি করার বিষয় জানায়। অাদালতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রামু থানা পুলিশ বৃহসাপতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মূল হোতা মো. অাজিজকে গ্রেফতার তেতে সক্ষক হয়।
এদিকে খুনের মূল হোতাকে গ্রেফতারের খবরে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণীর জনসাধারণ রামু থানা প্রশাসনকে জন্যবাদ জানিয়েছেন।