আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সহিংসতা ও রোহিঙ্গা গণহত্যায় প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার কারণে বিশ্বজুড়ে প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবারও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না।
রাখাইনে গণহত্যার দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিচার হওয়া উচিত বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এ নিয়ে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র চাপের মধ্যে বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সু চি’র এ সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মি ইয়ান্ট থু এর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সেভেন ডে ডেইলি’।
মি ইয়ান্ট থু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সু চি’র পরিবর্তে সরকারের দুজন ঊধ্বর্তন মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সোয়ে ও কিয়াও টিন আসন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন। তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বর্তমান পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরবেন।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাখাইনে সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞের মুখে দেশটি থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বিদেশ যাত্রা এড়িয়ে চলছেন সু চি।
বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়ার শঙ্কায় গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনেও যোগ দেননি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর (সরকারপ্রধান) সু চি। এছাড়া সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনেও যোগ দেননি শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেত্রী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।