শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,সদর
কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীতে সরকারি খাস জমি(চাঁন্দিনা ভিটা) জোর পুর্বক দখল করে রাতের অন্ধকারে দোকান নির্মাণের খবর পাঠকপ্রিয় কক্সবাজার নিউজ ডটকম ( সিবিএনে) প্রকাশ হওয়ার পর ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হাসানের নির্দেশে ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। সহকারী তহসিলদার খালেদা বেগমের নেতৃত্বে একদল ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারি খাস জমির উপর দোকান নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় নির্মান শ্রমিক ও দখলদার।ভূমি কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার পর পুনরায় নির্মান কাজ শুরু করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে পরিষদের পাশে।জানা গেছে,ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন দেওয়ালের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে সরকারি খাস জমি দখল করে আসছিল ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার ফজল করিমের পুত্র ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারী লোকমান হাকিম নামের এক প্রভাবশালী দীর্ঘদিন জোর পুর্বক ভোগ দখল করে আসছিল।সম্প্রতি দোকানঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে গেলে নতুন করে ইট- সিমেন্টের ধারা নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করে আসছে।রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ দেখে স্থানীয়দের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন জনপ্রতিনিধি জানায়, প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে এ কাজটি অব্যাহত রাখায় কেউ মুখ খোলার সাহস করছে না। তিনি আরো বলেন দখলকৃত জমির মূল্য তিন লক্ষ টাকার অধিক হবে।এমন কি পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও দখল করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে।
চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজ করিম বাবুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে করে বলেন জায়গাটি সরকারি খাস ( চাঁন্দিনা ভিটা)।অভিযুক্ত লোকমান হাকিমের মোবাইলে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হাসান জানান,ঘটনাস্থলে প্রশাসনের লোক পাঠানো হয়েছে।কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুনরায় নির্মান কাজ চালালে আটক পুর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।