খেলা ডেস্ক:
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর শোয়েব আখতার টুইট করেছিলেন, পাকিস্তানের দিন বদলে দেবেন ইমরান ভাই। কিন্তু তাঁর ইমরান ভাইয়ের এই বদলের খড়্গে যে শোয়েবও পড়বেন, তা কি তখন ভেবেছিলেন?
‘সেভ দ্য মানি’ মিশন শুরু করে দিয়েছেন এহসান মানি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধানের দায়িত্ব নিয়েই ছেঁটে ফেললেন চার পরামর্শকের প্যানেল। তাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারও। গত বৃহস্পতিবার শোয়েব টুইট করে পিসিবি চেয়ারম্যানের পরামর্শক পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে স্বেচ্ছায় সরে না গেলে ছাঁটাইয়ের শিকার হতে হতো জেনেই শোয়েব মানে মানে কেটে পড়েছেন। ছাঁটাই হয়েছেন বা হতে চলেছেন আরও অনেকে। শীর্ষ পদ থেকে নিচু সারির অনেকেই চাকরি হারাবেন। ৯০০-র বেশি কর্মী পিসিবিতে বেতনভুক্ত। এত কর্মীর প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন মানি।

ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এর আগে সরে যান শেঠি। খ্যাতনামা এই সাংবাদিকের সঙ্গে ইমরানের সম্পর্ক ছিল সাপে-নেউলে। পিসিবির প্রধান হিসেবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি এহসান মানিকে নিয়োগ দেন ইমরান। মানির প্রথম বড় উদ্যোগের মধ্যে থাকল উপদেষ্টা পর্ষদ বাতিল করে দেওয়া। চারজনের মধ্যে দুজন অবশ্য বিনা বেতনে কাজটি করতেন। তবে শোয়েব ও সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার সালাউদ্দিন সাল্লু বেশ ভালো অঙ্কের পারিশ্রমিক নিতেন এই কাজের জন্য।

অন্য দুজনের মধ্যে শাকিল শেখ পারিশ্রমিক না নিলেও এই পদের অন্যায় সুবিধা ভোগ করতেন বলে অভিযোগ ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেট ও মাঠ কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে তিনি ইসলামাবাদের একটি নির্দিষ্ট মাঠে অন্যায়ভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটের একাধিক ম্যাচ বরাদ্দ দিয়েছেন। ক্রিকেট খেলেননি এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন ভাবা হতো তাঁকে। কমিটির চতুর্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও স্বার্থের সংঘাতঘটিত অভিযোগ উঠেছিল।

মানি অবশ্য নজর শেঠির আমলে গঠিত সব কমিটিই বাতিল করে দিচ্ছেন। এসব কমিটিতেও স্বার্থের সংঘাত ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। উদাহরণ হিসেবে বলেছেন, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা যেমন একই সঙ্গে নিরীক্ষা কমিটিতেও আছেন। অর্থবিষয়ক লেনদেন ঠিক হলো কি না, তা যাচাই করবে যে কমিটি, সেই নিরীক্ষা কমিটিতেই যদি আবার অর্থ বিভাগের প্রধান থাকেন; যেকোনো অন্যায়-অনিয়মের তদন্ত নিরপেক্ষ না-ও হতে পারে। এটাই হলো এহসান মানির বক্তব্য। মানি এভাবে উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, শেঠির গঠন করা প্রতিটি কার্যকরী কমিটি গঠনের সময় পেশাদারত্বের মূলনীতিটাই লঙ্ঘন করা হয়েছে।

মানি বোর্ডের গঠনকাঠামো, গঠনতন্ত্র ও দৈনিক কার্যাবলির ধরনেও পরিবর্তন আনছেন। শুধু জাতীয় ও জুনিয়র পর্যায়ের নির্বাচক কমিটিগুলোকে আগের মতো রাখা হচ্ছে।

বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর শোয়েব আখতার টুইট করেছিলেন, পাকিস্তানের দিন বদলে দেবেন ইমরান ভাই। কিন্তু তাঁর ইমরান ভাইয়ের এই বদলের খড়্গে যে শোয়েবও পড়বেন, তা কি তখন ভেবেছিলেন?