ফারুক আহমদ, উখিয়া :
উখিয়ার ভালুকিয়া পালং সর্দার পাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আপন পিতা ঠান্ডা মিয়ার হত্যাকারী পাষন্ড পুত্র সন্ত্রাসী ইউছুফ এবার হত্যা মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি সহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। পিতা হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে বাদী আশরাফ আলী ও তার পরিবার পরিজন বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতা বসবাস করছে বলে এমন অভিযোগ ভোক্তভোগিদের।
উখিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রত্মা পালং ইউনিয়নের সর্দার পাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ ঠান্ডা মিয়াকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী/২০১৭ তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেরা নির্মম নির্যাতন ও লোহা (কোদাল) দিয়ে আঘাত করে । মারাত্মাক জখম অবস্থায় প্রথমে উখিয়া হাসপাতাল পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৩ মার্চ তিনি বাড়ীতে মারা যায়।
এলাকাবাসীরা জানায়, জায়গা জমি ও নগদ টাকা পয়সা জোর পূর্বক ভাবে আদায় করার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার ছেলেরা প্রতি নিয়ত পিতা ঠান্ডা মিয়াকে শাররীক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল । এমনকি নির্যাতন চালিয়ে হুমকি মুখে বেশ কিছু সহায় সম্পত্তি প্রথম স্ত্রীর ছেলে মেয়েদেরকে বঞ্চিত করে আদায় করে নেন দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে নাছির উদ্দিন ও ইউছুপ গন।
ঘটনাদিন ও অনুরোপ ভাবে পিতাকে হুমকি দিয়ে জমিও টাকা দাবী করলে পিতা এতে অসমত্তি জানালে দ্বিতীয় স্ত্রীর পাষন্ড ছেলেরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে মারাত্মক জখম করে। জখমের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে পিতার নির্মম হত্যার ঘটনা শুনে প্রথম স্ত্রীর ছেলে বিদেশ প্রবাসী আশরাফ আলী দেশে চলে আসে। এ ব্যাপারে তিনি বাদী হয়ে গত ৯জুন ২০১৭ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে।যার নং ২৪০/১৭ ধারা ১০৯, ৩০২ ও ৩৪ দ:বি । মামলায় আসামী করা হয়, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ও সৎ ভাই নাসির উদ্দিন, ইউছুপ, মোশারফ হোসেন, সৎ বোন মনোয়ারা বেগম, ও সৎ মা নুরুচ্ছফা বেগম এবং মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে গফুর । বাদী সাংবাদিকদের জানান, মামলার আসামী সৎ মা ও সৎ ভাই-বোনরা সম্পত্তির লোভে আমার বয়োবৃদ্ধ পিতাকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য প্রথমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন ( পিআইবি) কে নির্দ্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পি আই বি’র তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার ঘটনা সত্য বলে প্রতিয়মান হওয়ায় আদালত মামলাটি এফ আই আর হিসাবে ট্রিট করার জন্য উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে আদেশ দেওয়া হয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী (যার স্বারক নং- ৪১০/৪/৪/১৮ তারিখ ৭-৬-২০১৮ইং) মামলাটি রুজু করা হয়। যার মামলা নং- ১২ ।
মামলার বাদী আশরাফ আলী জানান, নাসির উদ্দিনকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ও ২নং আসামী ইউছুপকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। অতি সম্প্রতি ইউছুপ জামিনে বের হয়ে এলাকায় এসে হত্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বাদী, স্বাক্ষী আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম সহ অন্যান্য স্বাক্ষীদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এমনকি গ্রাম ছেড়ে চলে না গেলে ছেলে মেয়ে গুম সহ জমি দখল ও রোপিত চাষাবাদের ধান, কেটে নেবে বলে হুংকার দিচ্ছে।
অভিযোগে প্রকাশ রামু শিকল ঘাট মনছুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বয়োবৃদ্ধ আপন পিতা হত্যাকারী পাষন্ড ছেলে ইউছুপ বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে এলাকায় মহড়া সহ আরো একটি হত্যা কান্ড ঘটনার পরিকল্পনা করছে। এ ধরনের অপতৎপরতা ও সন্ত্রাসী মূলক কার্যকলাপে শংকিত হয়ে পড়েছে পিতা হত্যা মামলার বাদীর পরিবার এবং পরিজন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাসকারী ভোক্তভোগিরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।