শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ শনিবার। সকাল ১১টায় পৌর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
পৌর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্যানেল মেয়র-১, প্যানেল মেয়র-২ ও প্যানেল মেয়র-৩ তিন পদে নির্বাচন হবে। আপাতত পর্যন্ত সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তিনজনকে নির্বাচিত করা হবে বলে জানা গেছে। তিন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিত করছেন ১০ জন। ভোট দেবেন মেয়র ও ১৬ জন কাউন্সিলর মিলে ১৭ জন।
তথ্য মতে, প্যানেল মেয়র-১ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ৩নং ওয়ার্ডের তিনবারের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ১০ নং ওয়ার্ডের দুবারের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীন কবির ও ১১ নং ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর রাজবিহারী দাশ। প্যানেল মেয়র-২ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মোরশেদ আহামদ বাবু, ২নং ওয়ার্ডের দু’বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাব উদ্দীন সিকদার। প্যানেল মেয়র-৩ (মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চার মহিলা কাউন্সিলর শাহেনা আকতার পাখি, ইয়াছমিন আকতার, জাহেদা আকতার ও নাসিমা আকতার বকুল।
জানা গেছে, প্যানেল মেয়র নির্বাচন নিয়ে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই নিয়ে সচেতন পৌরবাসীর মাঝেও আগ্রহ এবং কৌতুহল দেখা গেছে। কেননা দীর্ঘদিন কক্সবাজার পৌরসভা চালিয়ে এসেছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়ররাই। তাই এই আলোচনা। তিন পদে নির্বাচন হলেও প্যানেল মেয়র-১ নিয়ে সবার মাঝে আলোচনা চলছে। প্যানেল মেয়র-১ এর তিন প্রার্থীর মধ্যে দু’জনই সাবেক প্যানেল মেয়র ছিলেন। একমাত্র হেলাল উদ্দীন কবিরই নতুন। তাই তাকে আলোচনা হচ্ছে বেশি।
একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে সর্বমহলে হেলাল উদ্দীন কবিরের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। গতবারের দায়িত্ব পালনকালে তিনি এলাকায় চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন করেছেন। সুখে-দুঃখে মানুষে প্রয়োজনে ছুটে গেছেন তিনি। এছাড়া একজন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর একটা পরিচিতি রয়েছে। সংস্কৃতিমনা মানুষ হওয়ায় তিনি সবার সাথে সহজে মিশে গিয়ে মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা করেছেন। পৌর পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সাথেও তাঁর একটা সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণে পৌর পরিষদের সবার কাছে তিনি বেশ গ্রহণযোগ্য। জেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। হেলাল উদ্দীন কবির প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পেলে ভালো হবে বলে মনে করেন পৌরবাসী। তাই তাকে নির্বাচিত করার আহ্বান করেছেন সাধারণ পৌরসবাসী। অন্যদিকে মাহবুবুর রহমান চৌধুরীকে নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। তিনি একবার দায়িত্ব পালন করেছেন। তারও সুনাম রয়েছে।
তবে অপর প্রার্থী রাজ বিহারী দাশকে নিয়ে সাধারণ পৌরবাসী বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তিনি এক অথর্ব ও অযোগ্য ব্যক্তি বলে দাবি অনেকের। স্বয়ং তার ওয়ার্ডের লোকজনও তাকে প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে পেতে চাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনেকে জানান, তিনবার কাউন্সিলর এবং দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকলেও তিনি তার নিজ ওয়ার্ডেরও উল্লেখ্যযোগ্য কোনো উন্নয়ন করেননি। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে সিন্ডিকেট করে সব লুটেপুটে খেয়েছেন। অযোগ্যতা সত্ত্বেও নির্বাচন এলে সংখ্যালঘু বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন তিনি। তার ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোটার বেশি হওয়ায় এই ইস্যুকে পুঁজি করে ভোটারদের চোখে ধুলো ভোট আদায় করে বার বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তিন প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করা হবে। এই জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।