এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়ায় দিনদুপুরে ছোরার ভয় দেখিয়ে উম্মে আয়মন (১৫) নামের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত ওই শিক্ষার্থী ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। তাঁর বাড়ি উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের খালকাচা গ্রামে। সে ওই গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে। এ ঘটনায় অপহৃতের মা শহর বানু বাদি হয়ে বুধবার চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে চারজনকে।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন বদরখালী ইউনিয়নের খালকাচা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মো.ফারুক, টুটিয়াখালী পাড়ার বদন্যার ছেলে জয়নাল উদ্দিন, খালকাচা গ্রামের মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে নুরুল আলম ও নুরুল ইসলাম।

চকরিয়া থানায় দায়ের করা এজাহারে বাদি শহর বানু জানান, তাঁর মেয়ে উম্মে আয়মন ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে অভিযুক্ত এক নম্বর আসামি ফারুক তাকে নানা ধরণের কুপ্রস্তাব দিত। এমনকি বিভিন্নভাবে উত্তক্ত্য করতো।

বাদি দাবি করেন, সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত আসামি ফারুকসহ কয়েকজন সহযোগি পথরোধ করে ধারালো ছোরার ভয় দেখিয়ে একটি সিএনজি গাড়িতে তুলে শিক্ষার্থী উম্মে আয়মনকে অপহরণ করে পুর্বদিকে অর্থ্যাৎ চকরিয়া সদরের দিকে নিয়ে গেছে।

অপহৃতের মা শহর বানু জানান, ঘটনার পর থেকে মেয়ের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে খবরা-খবর নিয়েছেন। কিন্তু কোন সন্ধান না পাওয়ায় ঘটনার চারদিন পর বুধবার চকরিয়া থানায় এজাহারটি দায়ের করতে বাধ্য হয়েছেন।

চকরিয়া থানার ওসি মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী অপহৃতের মা শহর বানুর দায়েরকৃত এজাহারটি তদন্ত পুর্বক আসামিদের গ্রেফতার ও শিক্ষার্থী উম্মে আয়মনকে উদ্ধারে থানার এসআই মো.আলমগীরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে চকরিয়া থানার এসআই মো.আলমগীর বলেন, ঘটনার চারদিন পর ঘটনাটি পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে। তাৎক্ষনিক জানালে পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতার ও অপহৃতকে উদ্ধারে সুফল পেত। তিনি বলেন, এরপরও আমরা চেষ্ঠা চালাচ্ছি জড়িতদের গ্রেফতার এবং অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে।