ইফতেখার উদ্দিন চেীধুরী

১৯৬১ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান ভূ-তাত্তিক জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলীয় বালিতে ভারি খনিজ সম্পদের উপস্থিতি সর্বপ্রথম জানা যায়।

১৯৬৫ সালে ভারি খনিজ সম্পদের ব্যাপারে তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশন আগ্রহ প্রকাশ করে।

১৯৬৭ সালে দুইজন অস্ট্রেলীয় বিশেষজ্ঞের সহায়তায় দেশের দক্ষিণ-পূব উপকূলীয় অঞ্চলের বালিতে ভারি খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, জরিপ,বালির নমুনা বিশ্লেষণ , খনিজের পরিমাণ নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের ওপর গবেষণা কাজ শুরু করা হয়েছিল।

১৯৬৭ সালে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশন “ডাইরেক্টর অব নিউক্লিয়ার এন্ড মিনারেলস (ডি,এন,এম)” নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করে যার প্রধান কার্যালয় পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত ছিল এবং একটি আঞ্চলিক অফিস চট্টগ্রামে স্থাপিত করা হয়ছিল।

১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম অফিস হতে ধারাবাহিকভাবে ভারি খনিজ বালি অনুসন্ধান ও জরিপের কাজ শুরু করা হয়।

১৯৬৮ সালেই প্রকল্পের প্রথম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ৫৫০ কিঃমিঃ দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি খনিজ বালি অনুসন্ধান ও জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল এবং সেখানে মোট ১৭টি ভারী ও মূল্যবান খনিজ বালির স্তুপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম অফিসটির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিসটির নাম পরিবর্তন করে“নিউক্লিয়ার মিনারেল সেন্টার (এন,এম,সি)”নামকরণ করা হয়েছিল এবং খনিজ বালি অনুসন্ধানের কার্যক্রমটি আরও শক্তিশালী রুপে পরিচালনা করা হয়। অস্ট্রেলীয় বিশেষজ্ঞ কর্তৃক কাজের অগ্রগতি ও ফলাফল বিষয়ক পর্যালোচনা করা হয় এবং সন্তোষজনক বলে প্রমাণিত হয়।

১৯৭৫ সালে অস্ট্রেলীয় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশক্রমে অস্ট্রেলীয়া সরকারের অর্থানুকূলে খনিজ বালি হতে মূল্যবান উপাদানসমূহ পৃথকিকরণের সঠিক পদ্ধতি উদ্ভাবন ও উপাদানগুলোর পরিমাণগত ও গুণগত মান নির্ণয়ের জন্য কক্সবাজারের একটি পাইলট প্লান্ট স্থাপন ও চালু করা হয়।

১৯৭৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অস্ট্রেলীয় বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ভারী খনিজ বালি অনুসন্ধান , জরিপ ও মূল্যায়নের পাশাপাশি পাইলট প্লান্টের গবেষণার কাজ চলতে থাকে। সেই সাথে বিদেশের গবেষণাগারেও আনুষাঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। এসব কার্যক্রমের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল খনিজ বালি থেকে মূল্যবান উপাদানগুলো পৃথকীকরণের সঠিক উপায় (ফ্লোশীট) উদ্ভাবণ করা যা থেকে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক প্লান্ট স্থাপনের দিক নির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে।

১৯৭৭ সালে পাইলট প্লান্টে প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ আরম্ভ করা হয়েছিল । এখানে উল্লেখ্য যে,“ অস্ট্রেলীয় খনিজ উন্নয়ন গবেষণাগার (এমডেল)”বাংলাদেশের খনিজবালি থেকে মূল্যবান খনিজ সম্পদ বাণিজ্যিকভিত্তিতে আহরণ, উৎপাদন ও ব্যবহারের লক্ষ্যে একটি প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করে। তাদের ওই সমীক্ষা মূলতঃ মহেশখালী দ্বীপে ঐ সময়কাল পর্যন্ত আবিস্কৃত ভারি খনিজ বালির মজুদ এবং সেগুলো উত্তোলনের কারিগরী ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

১৯৭৭ সালে অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক বাজারে“এমডেল”যখন সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করে তখন রুটাইলের আর্ন্তজাতিক বাজার দর ছিল প্রতি টন ২৫০ অস্ট্রেলীয় ডলার এফ ও বি , জিরকণের দর ছিল টন প্রতি ১৯০অস্ট্রেলীয়ান ডলার, মেনাইট(৫৪% ঞর০২) ৭০-৮০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ম্যাগনেটাইট ৪০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং মোনাজাইট ৯০০অস্ট্রেলীয় ডলার এফ ও বি, লিউকক্সেন বাজার দর ছিল ৪৫০-৪৮০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

১৯৭৭ সাল পর্যন্ত মহেশখালী দ্বীপে আবিস্কৃত ভারি খনিজ মজুদের মোট পরিমাণ ছিল ৪ লক্ষ টন এবং ঐ সময় ভারি খনিজ বালির আর্ন্তজাতিক চাহিদা ও বাজার দর ছিল খুবই মন্দা। অধিকন্তু, ওই সমীক্ষায় মাত্র ৩/৪ টি খনিজের (জিরকণ,রুটাইল, লিউকক্সেন ও জিরকণ-কায়ানাইটের মিশ্রণ) পৃথকিকরণের বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে প্রকল্পের যাবতীয় ব্যয় ওই ৩/৪ টি খনিজের মধ্যে বিভাজন করে দেখানো হয়েছিল। তথাপিও“এমডেল”তাদের প্রতিবেদনে মত প্রকাশ করে যে, মহেশখালী দ্বীপে ওই সময়ে একটি বাণিজ্যিক প্লান্ট স্থাপন কারিগরী দিক থেকে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রকল্পটি “ব্রেক ইভেন”হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রকল্পটি “ব্রেক ইভেন” হবার যে কারণ উল্লেখ করা হয় তা হলো ঐ সময় পর্যন্ত মহেশখালী দ্বীপে আবিস্কৃত খনিজ বালির মজুদের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম এবং বিশ্ব বাজারে খনিজের চাহিদা ও মূল্যের নি¤œগতি। এ মডেল বাণিজ্যিকভিত্তিতে আহরণের উদ্যোগ গ্রহনের পূর্বে মহেশখালী দ্বীপে আরো অনুসন্ধান চালানোর উপদেশ দেয় এবং সেই সাথে বিশুদ্ধ জিরকণ ও রুটাইল উৎপাদনের জন্য কক্সবাজারস্থ খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্রের পাইলট প্লান্টের মান উন্নয়নেরও সুপারিশ করা হয়েছিল। ওই সময়ে মহেশখালী দ্বীপে অনুসন্ধানের কাজ আরো শক্তিশালী আকারে শুরু করা হয়েছিল ।

১৯৮০ সালে সেখানে অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ করা হয় যার ফলশ্রুতিতে আরও কয়েকটি খনিজ বালির স্তপ আবিস্কৃত হয়। ফলে ওই দ্বীপে ভারি খনিজ বালির মজুদ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টন হয়েছিল এবং এই বালি থেকে ৮টি খনিজ (জিরকণ, রুটাইল , লিউকক্সেন, কায়ানাইট, ইলমোনাইট, গারনেট, ম্যাগনেটাইট এবং মোনাজাইট) আহরণ ও উৎপাদন করা সম্ভব বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল।

১৯৮৩ সালে ইউ.এন.ডি.পি এবং জাপান সরকার বাংলাদেশের খনিজ বালি আহরণ ও উৎপাদনের ব্যাপারে একটি বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে।

১৯৮৫ সালে আগষ্ট মাসে এই লক্ষ্যে জাপান সরকারের আর্šÍজাতিক সহযোগীতা সংস্থা (জাইকা) ও মেটাল মাইনিং এজেন্সী অব জাপান (এম.এম. এ.জে) এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তিতে খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্রের পাইলট প্লান্টের বি.এম.আর.ই এর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্ত উক্ত সমীক্ষা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাপান সরকারের আর্šÍজাতিক সহযোগীতা সংস্থা (জাইকা)-অনুদানের $২৭৫,০০০০(দুইশত পচাত্তর লক্ষ ইউএসডলার)বৈদেশিক মুদ্রাসহ সর্বমোট-

$২৮৫,০০০০(দুইশত পচাঁশি লক্ষ ইউএস ডলার) প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করে। ফলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যায়।

১৯৮৭ সালের অক্টোবর মাসে সরকার কর্তৃক বিপুল সম্ভাবনাময়“খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র” প্রকল্পটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল এবং এর স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পদ প্রথমে বিক্রি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল ও পরবর্র্তীতে “গণপূর্ত অধিদপ্তর”-এর নিকট হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল। যা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ- স্বার্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি সিদ্ধান্ত ছিল।

১৯৯১ সালে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্রের কার্যক্রম পূর্ববতী সরকার কর্তৃক বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত পুনঃ বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়।

১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার পূর্ববর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল করতঃ কেন্দ্রটির কার্যক্রম সরকারী খাতের নিয়ন্ত্রণাধীনে পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেণ।

১৯৯৪-১৯৯৮ সাল থেকে“এমডেল”- এর তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার চার কোটি টাকা ব্যয়ে উক্ত পাইলট প্লান্ট কে উন্নত করার লক্ষ্যে বি.এম. আর. ই. ফলে উন্নত অনেক যন্ব্রপাতির সংযোজন করা হয়। বি.এম. আর. ই. মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তির দ্বারা ভারি খনিজ বালির পৃথিকীকরণের কাজটি সম্পুর্ন সমাপ্ত করা হয়।

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শিল্পে জিরকণ ও রুটাইলের ভাল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ অক্সিজেন লিঃ, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডস লিঃ, বাংলাদেশ ইনস্যুলেটর এন্ড স্যানিটারী ওয়্যার ফ্যাক্টরী, কর্ণফুলী পেপার মিলস, চট্টগ্রাম ষ্টীল মিল এবং দেশের বিভিন্ন রং এবং সিরামিকস শিল্পের কাচাঁমাল হিসেবে রুটাইল এবং জিরকণ ব্যবহৃত হয় এবং এগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে বিদেশ থেকে প্রতি বছর আমদানী করতে হয়। এছাড়া গালফ্রা হাবীব , ইস্পাহানী মার্শাল , মিশিন-টুলস ফ্যাক্টরী প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে ফাউন্ড্রী ও কাষ্টিংয়ের কাজে জিরকণ ব্যবহৃত হয়।

অতীতে খনিজ বালি উত্তোলন প্রক্রিয়াটি সহজ ছিল। বর্তমানে ১৭টি স্তূপ গুলোর অবকাঠামোগত পরিস্থিতিতে অনেকাংশে পরিবর্তন এসেছে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় যে,- চিংড়ি হ্যাচারী প্রকল্প নির্মাণ, লবণ চাষের মাঠ নির্মাণ , বাড়ী-ঘর নির্মাণ, মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নিমার্ণের ফলে লোকজনের আনা-গোনা, চলা-ফেরা, বসতি স্থাপনসহ বিভিন্ন রুপে রুপান্তরিত প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়ে দাড়িঁয়েছে।

বর্তমানে নতুন করে “পাইলট প্লান্ট”-টির খনিজ বালি উত্তোলনের প্রক্রিয়া স্থাপন করার ক্ষেত্রে ঊহারৎড়হসবহঃধষ ওসঢ়ধপঃ অহধষুংরং করার সাথে সাথে বিদেশী কনর্সালটেন্সি নিয়োগের মাধ্যমে ঋবধংরনরষরঃু ঝঃঁফু করা প্রয়োজন ।

বর্তমানে আর্ন্তজাতিক বাজারে এইসব ওহফঁংঃৎরধষ গরহবৎধষং এর দাম অনেকগুন বেড়ে গিয়াছে। রুটাইল এবং জিরকন প্রতি টনের বর্তমান বাজার মূল্য ২৬০০-৩০০০ইউএস ডলার পর্যায়ে দাড়িঁয়েছে এবং চাহিদা আগের পরিস্থিতিতি থেকে বর্তমানে দ্বিগুন বেড়ে গিয়াছে।

বর্তমান “পাইলট প্লান্ট”-টির মানোন্নয়নের পর সেখানে ফ্লোশীট নির্ধারণের জন্য গবেষণারের পাশাপাশি সীমিত পর্যায়ে জিরকণ ও রুটাইল উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্লান্টটিকে আমদানী বিকল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা করা যায় কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। অভ্যন্তরীণ চাহিদার কিয়দংশও এই প্লান্ট থেকে সরবরাহ করা গেলে দেশীয় শিল্প-গুলোর কিছুটা প্রসার ঘটবে, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য কমবে, বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে, রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের বেকার সমস্যার কিছুটা লাঘব করা যাবে। এটা করা সম্ভব হলে পর্যায়ক্রমে খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্রটিকে “লার্ণ এন্ড আর্ণ” ভিত্তিতে আর্থিকভাবে কিছুটা হলেও স্বয়ংসম্পূর্ণ করার প্রচেষ্ঠা গ্রহণ করা যেতে পারে।

এই “পাইলট প্লান্টটি” নতুন করে প্রক্রিয়াকরণ করলে দেশ ও জাতীর জন্য নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে এবং এরই সাথে সাথে দেশের রাজস্ব আয়ের নতুন উৎস তৈরি হবে এবং দেশ ও জাতীর কল্যানের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উম্মেচিত হবে।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয়তার রোধে এইসব খনিজ বালিতে উৎপাদিত শিল্ডিং ব্লক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবহারের উপযোগী করা সম্ভব।


লেখক: ইফতেখার উদ্দিন চেীধুরী, উর্ধতন কর্মকর্তা (সাবেক), সমাজসেবক,  খনিজ বালি আহরণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, কক্সবাজার।