বান্দরবান প্রতিনিধি :
বিয়ের আটবছর পরও যৌতুকের হাল ছাড়েনি জেলা আওয়ামী তরুণলীগ আহবায়ক কথিত ডা.প্রিন্স সেন। গত সোমবার বিকেলেও ডা.প্রিন্স সেন তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী রুপা দাশকে(৩২) মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে রুপার স্বজনরা তাকে মুমুর্ষাবস্থায় উদ্ধার করে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট হিলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা বলে ধারনা করছেন রুপার বড় ভাই রাজেশ দাশসহ স্বজনরা। সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রুপা দাশ নিজেই। তিনি অভিযোগপত্রে বলেন,তার স্বামী প্রিন্স সেন তাকে গত ২ বছর ধরে যৌতুকের দাবিতে নানানভাবে শারিরিক নির্যাতন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার বিকালে শহরের ৬নং ওয়াডের ক্যাচিংঘাটার বাসায় বান্দরবান জেলা তরুনলীগের আহবায়ক পরিচয়দান কারী ডা.প্রিন্স সেন যৌতুকের জন্য কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্ত্রী রুপা দাশকে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে ব্যাপক ভাবে আঘাত করে। এ সময় রুসার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ডা.প্রিন্স সেন দ্রুত পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা পরে ঘটনাটি তার ভাইকে অব্যহিত করলে ভাই রাজেশ দাশসহ স্বজনরা তাকে সেই বাসা থেকে উদ্ধার করে শহরের একটি প্রাইভেট হিলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসার্থে ভর্তি করেন। স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত রুপা দাশের ভাই রাজেশ দাশ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, প্রিন্স সেন আমার বোনকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করেছে, সে বর্তমানে বান্দরবান শহরের একটি প্রাইভেট হিলভিউ হাসপাতালে চিকিসাধীন আছেন। তার বোন রুপাকে যৌতুকের জন্য এর আগেও অনেক বার মেরেছে, আগুনে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল, তখনও তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম, সে নয় মাস জেলও খেটেছিল। পরে সে আবারও শুরু করেছে বোনের ওপর নির্যাতন।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.ইয়াছির আরাফাত বলেন,যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করেছে মর্মে প্রাপ্ত অভিযোগে স্বামী ডা.প্রিন্স সেনের বিরুদ্ধে যৌতুৃক বিরোধী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।