এফ এম সুমন:
১,৬৩,৭৫৩ রোগীর বিনামূল্যে সেবা দিয়ে পেকুয়া কুতুবদিয়ার উপকুল থেকে বিদায় নিল ভাসমান রংধনু ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল। দীর্ধ পাচঁ টি বছর ধরে বঙ্গোপসাগরের উপকুলের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে এসে সেবা দিয়েছিল এই ভাসমান হাসপাতালটি। পাচঁ বছরের এই দীর্ঘ সময়ে তারা নোঙর করেছে কখনো পেকুয়ার উপকুল কখনো বা কুতুবদিয়ার উপকুল।
বিনামূল্যে তাদের সেবা নিয়েছে ১৬৩,৭৫৩ জন রোগী। তার মধ্যে অস্ত্রপ্রচার করেছে সাড়ে পাচঁ হাজারের ও বেশি মানুষের। তার মধ্যে চোখের অপারেশন ছিল অন্যতম।
কুতুবদিয়া বড়ঘোপ এলাকা থেকে চোখের চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ জসিম উদ্দিন বলেন,আমি এসে সত্যি অবাক হয়েছি। ইতিমধ্যেই আমি চিকিৎসা নিয়েছি মনে হচ্ছে সেবার মান অনেক ভালো। কিন্ত বিনে পয়শায় এমন সেবা আর কোথাও নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তার মতই কথা হচ্ছিল সেবা নিতে আসা মরিয়ম বেগম (৪০) সাথে তিনি বলেন আমার মায়ের চোখের অস্ত্রপ্রচার হয়েছে এখানে আমি এই রকম সেবা কোথাও আর দেখিনি। রংধনু চলে যাবে শুনে তার মুখটি শুকিয়ে আসে।
কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী বলেন, আমি মনে কষ্ট পেয়েছি রংধনু চলে যাবে শুনে তবে তাদের ধন্যবাদ ও দিতে চাই তারা যে আমার এলাকার গরীব মানুষকে বিনে পয়শায় সেবা দেয়ার জন্য। তবে তারা কথা দিয়েছে কুতুবদিয়ায় স্থলভাগে হাসপাতাল নির্মাণ করবেন। তার পরে ও ভাসমান এইরকম হাসপাতাল গরীব মানুষের খুব বেশি উপকারে আসে তাই এই রকম উদ্যোগ যেন চলমান থাকে।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, এটা সত্যিকার অর্থে গরিবের সেবা। সাধারণ মানুষ এখানে এসে সেবা নেন উপকৃত হন জনপ্রতিনিধি হিসেবে খুবই ভালো লাগে তবে তারা চলে যাচ্ছেন এটা খারাপ লাগছে। আশা করবো সামনে তারা নতুন জাহাজ দিয়ে যেন এ সেবা অব্যাহত রাখেন।
গত ২৭শে আগষ্ট কুতুবদিয়ার উপকুলে জাহাজের হল রুমে এক সমাপনি অনুষ্টানের মাধ্যমে তাদের এই ভাসমান সেবা কার্যক্রম আনুষ্টানিকভাবে শেষ করেন। এসময় রংধনু ফ্রেন্ডশীপের প্রতিষ্টাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, জাহাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা এই ভাসমান সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে সামনে কুতুবদিয়ার স্থলভাগে চ্যাটেলাইট হাসপাতালের মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা সেবা চলমান থাকবে। সমাপনি অনুষ্টানে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়াত আজিজ রাজু, কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মুজিবুর রহমান, কুতুবদিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র উপস্থিত ছিলেন।