সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজারে বর্জ্য থেকে জৈবসার উৎপাদনে সিডিএম প্রকল্পের দলিল হস্তান্তর ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার পৌরসভা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যকার এ চুক্তি সম্পাদন হয়। এতে প্রথম পক্ষে মেয়র মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
এসময় মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, “কক্সবাজার পৌরসভা থেকে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত প্রায় ৫শ’ টন বর্জ্য সরানো হয়। আর এসব বর্জ্য থেকে এখন সার উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এতে করে বর্জ্য যেমন দ্রুত অপসারণ হবে তেমনি অপসারিত সেইসব বর্জ্যকে জৈবসারে রূপান্তর করা হবে। এটি নিঃসন্দেহে কক্সবাজারবাসীর জন্য সুখবর। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়নাধিন এমন উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুন্দর মানসিকতাকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। কারন কক্সবাজারকে পরিচ্ছন্ন ও বিশ^মানের পর্যটন নগরী গড়তে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন সরকার প্রধান। তাঁর স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।”
অন্যদিকে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন,“পৌর এলাকার বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ১০টন করে জৈবসার উৎপাদন হবে। মিঠাছড়িতে বাস্তবায়নাধিন ব্যতিক্রমী এ প্রকল্পের জন্য বিশেষ করে মেয়র মুজিবুর রহমানকেই ধন্যবাদ জানাতে হয়। আশা করছি- সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নপূর্বক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুফল ভোগ করতে পারবো।”
এসময় চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব, কাউন্সিলর নাছিমা আকতার বকুল, কাউন্সিলর দিদারুল আলম, কক্সবাজার পৌরসভার সচিব রাসেল চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল কালাম বাবুল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোবেট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদ আমিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পটি দেশের চারটি পৌরসভায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরমধ্যে কক্সবাজারের মিঠাছড়ির প্রকল্পও একটি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।