নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহাবুবউল করিমের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে গেলো সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্য বিয়ে। এদিকে ঝামেলা এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে বরপক্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুতাচুরা আইয়ুব আলী পাড়া এলাকার হাজী ছাদেক আলীর বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উজানটিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া (এএস) সিনিয়র মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী এবং একই ইউনিয়নের দক্ষিন সুতাচুরা আইয়ুব আলী পাড়া এলাকার হাজী ছাদেক আলীর শিশু মেয়ে সাদিয়া সুলতানা শেফা (১৩) এর সাথে বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজ্বী আবুল কাশেমের ছেলে তানবির মুহাম্মদ ছোটনের (১৯)। বাল্য বিয়ে দেয়ার সমস্ত আয়োজন শেষ করেছে তাদের পরিবার। বৃহস্পতিবার ৩০আগস্ট বিয়ে হওয়ার দিনক্ষণ ঠিক ছিলো।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুব উল করিম মহোদয়ের কাছ থেকে আমার ইউনিয়নে বাল্য বিয়ে হচ্ছে ঘটনাটি জানার পর কনে পক্ষের বাড়ি গিয়ে বাল্য বিয়ের কুফল সমূহ সম্পর্কে অবগত করি। এসময় মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া হবেনা মর্মে কনের বাবা-মা’র কাছ থেকে মুছলেখা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবউল করিম বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের সহায়তায় কনে পক্ষের পরিবারের সাথে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে বলি। এখন বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কনে ও বর পক্ষ প্রশাসনের অগোচরে অন্য কোথায় গিয়ে বিয়ে দিচ্ছে কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে।