নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:

পেকুয়ায় ৭ জেলেকে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করে চালানো নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগী গোপাল সরদার বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

এতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বদি উদ্দিন পাড়া এলাকার মৃত কাছিম আলীর ছেলে নুরুল আবছার প্রকাশ বদু মেম্বারকে প্রধান করে এজাহারনামীয় পাঁচজন ও ২০-২৫জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার দিনগত রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানী অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন, রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলা পাড়া এলাকার মৃত বজল আহমদের ছেলে জামাল হোসেন(৩২), চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জলদি ইউনিয়নের মহাজন পাড়া এলাকার মৃত কৃষ্ণ শীলের ছেলে নেপাল শীল(৪০) ও লোহাগড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের তাতীপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। কিন্তু এজাহারনামীয় অপর আসামী পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের বদি উদ্দিন পাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল আলম প্রকাশ ডাকাত আলম ও মামলার প্রধান আসামী নুরুল আবচার প্রকাশ বদু মেম্বার পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বাদী চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের জালিয়া পাড়া এলাকার মৃত সোনা সরদারের ছেলে গোপাল সরদার বলেন, গত ২৪আগস্ট মাছ ধরার কথা বলে আমরা ১২ জেলেকে রাজাখালী ইউনিয়নের বদি উদ্দিন পাড়ায় নিয়ে যায় নুরুল আবছার প্রকাশ বদু মেম্বার। মাছধরা শেষে ফেরার পথে বদু মেম্বারের নির্দেশে আমিসহ ৭ জেলেকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে মাথা মুড়িয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরানো হয়। এসময় আমাদের জিম্মি করে ধর্মবিরোধী বক্তব্যও আদায় করে তারা।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও গুলো দেখে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর চালানো এমন বর্বর ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।