নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের সংবাদকর্মী এ বি এম জমিরের পেশাগত কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে (নং-কক্সবাজার-হ-১১-৩৮৭৭) ধাক্কা দিয়েছে একটি বেপরোয়া নোহা। গত ১৬ আগস্ট লালদিঘীর পাড়ে মসজিদ চত্বরে পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছিল মোঃ আলমগীর হোসেনের মালিকানাধীন ওই নোহা। যার নং- চট্টমেট্রো ছ-১১-১৯৭৫। গাড়িটির চালক মোঃ ইউনুছ। এই ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সংবাদকর্মী এ বি এম জমির।
এ বি এম জমির জানান, তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি লালদিঘির মসজিদ চত্বরে পার্কিং করে নামাজ পড়তে মসজিদে ঢুকেন তিনি। এসময় ওই নোহা গাড়িটি পিছন দিক থেকে এসে মোটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি ধুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ বি এম জমিরসহ লোকজন তাৎক্ষণিক ওই গাড়ির চালককে আটকালে সে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে শটকে পড়ে। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উল্টে যায় ওই নোহার মালিক ও চালক। এক পর্যায়ে সংবাদকর্মী জমিরকে হুমকি দেয় তারা। ১০ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত গাড়ির মালিক বা চালক কেউ যোগাযোগ করেননি।
এ বি এম জমির বলেন, সম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের প্রেক্ষাপটে আমি দৈনিক কক্সবাজার বাণীতে পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিকদের নৈরাজ্য নিয়ে ধারাবাহিক কয়েকটি প্রতিবেদন করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। গাড়িটির প্রায় সম্পূর্ণ কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। এটা মেরামত করতে কম হলেও ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে।
এই বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোটিশ দিয়ে আগামী ৩০ আগস্ট থানায় তলব করেছেন অভিযুক্তদের। অভিযোগটি থানার এসআই দেবব্রত রায় দীপ্ত কাছে রয়েছে। ৩০ আগস্ট তারা থানায় হাজির না হলে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন এসআই দেবব্রত রায় দীপ্ত।