নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে বার্মিজ আচারের নামে নোংরা পরিবেশে ভেজাল আচার তৈরি করার দায়ে পাঁচজন মহিলা প্রস্তুতকারকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একটি ভেজাল কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে তাদের আটক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলার পাশে দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা হাবিুবুল হাসান। এসময় প্রায় দেড় হাজার প্যাকেট ভেজাল আচার জব্দ করা হয় এবং আচার তৈরির প্রায় পাঁচ মণ বরই ধংস করে দেয়া হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আচারের বার্মিজ খালি প্যাকেট ও স্টিকার।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা হাবিুবুল হাসান বলেন- পর্যটক মৌসুমকে কেন্দ্র করে একটি চক্র কক্সবাজারে ভেজাল আচার সরবরাহ করছে; এমন কিছু তথ্য রয়েছে আমার কাছে। চক্রটি মিয়ানমারের আচার প্রচার করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে কারখানা গড়ে তুলেছে। এসব কারখানায় নোংরা পরিবেশে আচার তৈরি করে শহরের বিভিন্ন আচারের দোকানে সরবরাহ দিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় একটি ভেজাল কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন- টিন শেড একটি ঝুঁপড়ি ঘরে পাঁচজন মহিলা ভেজাল আচার তৈরি করছে। খুবই নোংরা পরিবেশে মাটিতে রেখে আচার গুলো তৈরি করা হচ্ছে। পচা বরই গুলো সিদ্ধ করে বার্মিজ প্যাকেট করছে কয়েকজন কর্মী। তাদের কোনো অনুমতি নেই। এসব ভেজাল আচার তৈরি করার অপরাধে পাঁচজন মহিলাকে আটক করা হয়। তারা হলো- সেলিনা আক্তার, আসমাউল হুসনা, ছমিরা আক্তার, জহুরা বেগম ও শাকেরা বেগম।
ইউএনও হাবিবুল হাসান বলেন- পাঁচজনের মধ্যে জহুরা বেগম ও শাকেরা বেগমকে এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আর সেলিনা, আসমাউল হুসনা ও ছমিরা আক্তারকে তিনমাসের দন্ড দেয়া হয়। তারা সবাই ভেজাল আচার তৈরির কথা স্বীকার করেছে। ফারুক নামে একজন ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে তারা এসব ভেজাল আচার তৈরি করে যাচ্ছে। তবে ঘটনাস্থলে ফারুক নামে ওই ব্যবসায়ীকে পাওয়া যায়নি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।