এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চুরির কাজে বাধা দেয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির ২০ হাজার গাছের উপড়ে ফেলেছে একদল দূর্বৃত্তরা। ঈদুর আযহার দ্বিতীয় দিন রাতের আধাঁরে উপজেলার সীমান্তবর্তী লাম ফাঁশিয়াখালীস্থ কুমারী বিছিন্নছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বাগান মালিক সরওয়ার আলম জানান, তার চার সহোদরের মালিকাধীন লামা উপজেলার ফাঁশিয়াখালীস্থ কুমারী বিছিন্নছড়া এলাকায় ২৫ একর বিশিষ্ট একটি বাগান রয়েছে। ওই বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধলক্ষাধিক গাছের রোপন করা হয়। বিগত ৬ বছর পূর্বে বাগান পরিচর্যার জন্য কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় চকরিয়া উপজেলা ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের গাবতলীর এলাকার বাসিন্দা আবদুর শুক্কুরের ছেলে আইয়ুব খান (৪০)। কর্মচারী আইয়ুব খানকে বাগান নিয়োগ দেয়ার পর থেকে ওই বাগান মালিকের অজান্তে বিভিন্ন সময় গাছ কেটে লাকড়ী হিসেবে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। গাছ চুরির অভিযোগে তাকে হাতেনাতে ধরার পরও ক্ষমা করা হয়েছে। এরপরও গাছ চুরিতে অব্যাহত রেখেছে বাগান কর্মচারী আইয়ুব। এতে বাগান মালিকের অন্তত পাচ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করেছে। তিনি আরও জানান, গত দুই মাস পূর্বে গাছ চুরির অভিযোগে আইয়ুবকে বাগান থেকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। তার চাকুরী চলে যাওয়ার পরই সে ক্ষুব্ধ হয়ে ঈদুল আযহার পরদিন চাকরীচূত ঘের কর্মচারী আইয়ুব নেতৃত্বে ১০-১২জনের একদল দূর্বৃত্ত রাতের আঁধারে বাগানে ঢুকে বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ২০ হাজার চারা গাছ উপড়ে ফেলে। এতে বাগান মালিকের প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে দাবী করেছেন বাগান মালিক। গাছ উপড়ে ফেলার বিষয়টি চকরিয়া থানার (ওসি) ও ফাঁশিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়। এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগী বাগান মালিক সরওয়ার আলম থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।
এব্যাপারে ফাঁশিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাগানের কর্মচারী আইয়ুব খানকে চাকরীচূত হওয়ায় সে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে ফেলার বিষয়টি বাগান মালিক সরওয়ার আমাকে অবহিত করেন। বাগান মালিক ও কর্মচারী দুইজনই আমার এলাকার। উভয় পক্ষকে ডেকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বিষয়টি মিমাংস করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।