সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁওঃ
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর খাঁন ঘোনা বেশ ক’টি চিংড়ি ঘেরের কলকলিয়ে পানির শব্দ। চাষীদের মাছ ধরা সব মিলে যেন একাকার শিল্প এলাকার বিনোদনের স্পট খাঁন ঘোনা- জাপানি সড়কের পোকখালী স্কুল পয়েন্ট। সড়কের দক্ষিণ খাঁন ঘোনা পাড়া থেকে সাদা ঘোনা ব্রীজ পর্যন্ত সকাল থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সারক্ষণ আনাগোনা। গুমোট আবহাওয়া জনজীবনে ত্রাহি অবস্থা। এমন গরমেও একটু স্বস্তি নিতে মৃদু হাওয়া শান্তির পরশ পেতে ছুটে যান খাঁন ঘোনা সড়কের তীরে। স্থানীয়রা ছাড়াও বিভিন্ন যায়গা থেকে ঘুরতে আসেন ভ্রমণপিপাসুরা।
বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেলে লোকারণ্য হয়ে যায় সড়কের দু’পাশ, যা আরও বৃদ্ধি পায় সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে। বিশুদ্ধ বাতাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসেন হাজারও মানুষ। তাদের কেউ সড়কের ফুটপাতে বসে আড্ডা দেন, কেউ বা মগ্ন থাকেন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগে, আবার কেউ কেউ বেড়ানোর জন্য ঘেরের নৌকায় ওঠে পড়েন। দর্শনার্থীদের ভিড়ে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা।
গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিনে সড়ক তীর ঘুরে দেখা যায়, চিংড়ি ঘেরের ছোট ছোট ঢেউ। আছে নৌকা, ঘেরের টং ঘর। দুপুর, সন্ধ্যা নেই সব সময় মুখরিত সড়ক তীর। তবে বসার জন্য নিদিষ্ট জায়গা নেই। সড়কের গাইডওয়ালের পাশ দর্শনার্থীদের বসার স্থান। এ সড়ক দিয়ে সহজেই হেঁটে অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখতে পারছেন আগতরা। শীতল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
স্থানীয়রা জানান, যে কোন উৎসবের ছুটিতে সড়কের পাড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। বছরের অন্য সময়গুলোতে এখানে মানুষের বেশ উপস্থিতি থাকে। ওয়াকওয়ের পথে হেঁটে হেঁটে অনেকে নেমে যান চিংড়ি ঘেরের লবণ পানিতে। প্রতিদিনই মানুষ এখানে কমবেশি এলেও ছুটির দিনগুলোতে থাকে সবচে উপচে পড়া ভিড়।
এ সড়কে ঘুরতে আসা কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী কাউছার জান্নাত বলেন, নির্মল বিনোদনের জায়গা সড়কের পাড়। এখানকার মতো এমন বিশুদ্ধ বাতাস আর কোথাও নেই। তাই এখানে মাঝে মধ্যে ঘুরতে আসি। তবে প্রত্যেক দিন সবচেয়ে বেশি যারা ঘুরতে আসেন তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থী।
তাছাড়া অবসর সময় কাটানোর জন্য পুরো ইসলামপুরবাসির মানুষের কাছে এই স্থানটি খুবই প্রিয়। সুযোগ পেলেই বিশুদ্ধ বাতাস নিতে ছুটে আসেন তারা। এর মধ্যে তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন বলেন, ছেলেকে নিয়ে সড়কের পাড়ে ঘুরতে এসেছি। এখানের মতো বিশুদ্ধ বাতাশ, চিংড়ি ঘেরে নৌকা ও জাল ফেলানোর দৃশ্য দেখার সুযোগ আছে। তাই প্রাকৃতিক পরিবেশের দৃশ্য দেখতে এসেছি।
দর্শনার্থীদের ভীড় বেশি হলেও গড়ে উঠেনি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা খাবার দোকান।
রফিক নামের এক ডাব বিক্রেতা বলেন, বিশেষ করে ছুটির দিনে মানুষ বেশি হয়। এখনে অনেক মানুষ আসে তবে সাবাই তো আর খায় না অনেকে শুধু ঘোরা-ফেরা করে চলে যায়। আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক মানুষ ঘুরতে আসে তাই বিক্রি একটু বাড়ছে। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্রি একটু কম হলেও সন্ধ্যায় বিক্রি ভালোই হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।