বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন মেহেরঘোনা বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ৫০ বছর আগে দখলকৃত জায়গায় বনকর্মীর গুলিতে মোস্তাক আহমদ নিহতের ঘটনায় লোক দেখানো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মেহেরঘোনা রেঞ্জ অফিসার মামুন মিয়া। ২৫ আগষ্ট শনিবার দুপুর বারটার দিকে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সম্পূর্ণ বিভান্তিকর কিছু তথ্য পাঠ করে অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন নিহতের স্বজনরা। এমন সংবাদে বিভান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে নিহতের ছোটভাই শফি আলম ও স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শীরা।
তারা মূল ঘটনাটি তুলে ধরেছেন- চাঁন্দেরঘোনা অছিন্যা মোরা এলাকায় একজন লোক বাড়ি নির্মাণ করে কিছুদিন আগে। রেঞ্জ অফিসার মামুন মিয়া ও বিট কর্মকর্তা আশরাফুল মোটা অংকের টাকা না পাওয়ায় ঘটনার আগের শুক্রবারে টিন সেটের বাড়িটি ভেঙে দেয়। পরে অসহায় ঐ পরিবারের লোকজন পলিতিন দিয়ে কোন রখম দিন অতিক্রম করছিল। কিন্তু ঈদের আগে মামুন মিয়া আবারো মোটা অংকের চাঁদা দাবী করলে তারা টাকা দিতে অপারগতা পোষণ করায় ১৭ আগষ্ট আবারো অভিযানের নামে বনকর্মীরা ঐ পরিবারের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে এমনকি একপর্যায়ে তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তখন তাদের সৌর-চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে বাধা দিলে বনকর্মীরা স্থানীয়দের লক্ষ্যকরে বেপরোয়া কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় তখন সৌদি আরব থেকে আসা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোস্তাক আহমদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এলাকার লোকজন বনকর্মীদের দাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তরাও কিছুটা আঘাত হয়েছে বলে যানাযায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মোস্তাককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। পরে দাফন প্রক্রিয়া শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে বনকর্মীরা ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো নিহতের পরিবার সদস্যদের আসামী করে থানায় ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/ ৩০২দ:বি: ১৮/০৮/২০১৮ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করে, যার নং ৪৯। যেখানে ৫ জনসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ কে আসামী করা হয়েছে।
প্রত্যেক্ষদর্শীদের মতে ঐ মামলার ২ জন আসামী মিছবাহ উদ্দিন ও রফিক উদ্দিন ঘটনা স্থলে না থাকার পরেও তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। যেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সকাল ১০ দিকে এ ঘটনায় শত শত সাক্ষী থাকার পরেও কেন এমন তালবাহানা শুরু হয়েছে তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঘটনাটি সরেজমিন তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে আইন প্রয়োগ সংস্থানকারীকে অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহল। এদিকে রেঞ্জকর্মকর্তা মামুন মিয়া ঘটনার সাক্ষীদের মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হুমকি দিচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে সাংবাদিক বন্ধুদের বিভ্রান্ত না হয়ে বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও নিরীহদের পক্ষে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান নিহতের পরিবার।