ডেস্ক নিউজ:
রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে মিয়ানমারের ছয়জন শীর্ষ সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ।
গ্লোবাল মাগ্নিতস্কি অ্যাক্ট নামের আইনের অধীনে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদ জব্দ করা হবে। এ ছাড়া এ ছয়জনের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের সব ধরনের আর্থিক লেনদেনও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ব্যক্তিদের চারজন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার, বাকি দুজন বর্ডার পুলিশ কমান্ডার।
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় রাজস্ব বিভাগের উপসহকারী মন্ত্রী সিগাল মানডেলকার বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজনের বিরুদ্ধে এক সামরিক নিধনযজ্ঞ পরিচালনা করেছে। শুধু রোহিঙ্গা নয়, কাচিন ও শান রাজ্যের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধেও এই সহিংসতা পরিচালনা করা হয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ভয়াবহ নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতেই হবে।
এদিকে আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতার ওপর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন বলে জানা গেছে। ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার এক বছর উপলক্ষে প্রস্তুত এই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পিত ও সমন্বিত সামরিক আক্রমণ চালানো হয়, সেই বিবরণ থাকবে বলে জানা গেছে। ওয়েব পত্রিকা পলিটিকো জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনে মিয়ানমার বাহিনীর কার্যকলাপকে গণহত্যা (জেনোসাইড), না জাতিহত্যা (এথনিক ক্লেনজিং) বলা হবে, সে বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত সাম ব্রাউনব্যাক মিয়ানমারে যা ঘটেছে, তাকে গণহত্যা নামে অভিহিত করতে চান। কিন্তু এ ব্যাপারে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা দ্বিধায় রয়েছেন, কারণ গণহত্যার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনে হস্তক্ষেপমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমোদন রয়েছে। শুধু জাতিহত্যা বলা হলে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।