সাইফুল ইসলাম বাবুল
কাঁচা গোবরের গন্ধ থাকে।সে গোবর শুকালে আর গন্ধ থাকে না, তখন তা পবিত্র। এ সমাজে এখন এমন শুকনা গোবর মার্কা মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে! তাই তাদের কেউ খারাপ বলবেন না।
তারা সোজা থেকে বাঁকা, শুভ থেকে ভয়ংকর এমন কোন কাজ নেই করতে পারে না। আবার লেবাস ছুপি আহসান উল্লাহ।

রাজনীতির মাঠে নীতি বাক্য, জনসমাজে ভদ্রতার লেবাসে যেন অভিজাত কোন এলাকা থেকে উঠে এসেছেন। এত কিছুর পরেও খাছিলত বদলাতে পারে নাই। দলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অন্যের জমির মাটি বিক্রি, বিচার বাণিজ্য, থানা নিয়ন্ত্রণ,গ্যাং চিটিংবাজি সবই তাদের আছে। তাই তাদের কেউ খারাপ বলবেন না। মানুষের জানার এবং বুঝার তথা সাবধান থাকার জন্য কিছু বাক্যব্যয়  করছি মাত্র।

সম্প্রতি( হারুন ডাক্তারের জবানী মতে) হারুন ডাক্তারের চেম্বার আক্রমণের  কৌশলটা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা সংস্থা ও পারবে না। অভিনব কায়দায় একজন কে রোগী সাজানো হলো। তারপর ভুল চিকিৎসা দিয়েছে বলে শোর চিৎকার শুরু। অন্য সদস্যরা সাথে সাথে চেম্বারে ডুকে কতগুলো পরিত্যক্ত ইঞ্জেকশনের ভায়েল দেখিয়ে (যা তাহারা সঙ্গে নিয়েছে) বলল শালার ডাক্তার ভুল চিকিৎসা দিলি কেন? মারধর করে ৮৫ হাজার পরিমাণ টাকা নিয়ে চলে যায়। বলে যায় আরো টাকা লাগবে আবার আসবো। পরে গিয়ে ৭০ হাজার টাকার চেক নিল।

এর পরের ঘটনা নজরুল নামের এক ব্যক্তি অভাবের কারণে জমি বিক্রি করল। তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাত পা বেঁধে বেদম প্রহার করে এবং চেতনানাশক ইঞ্জেকশন দিয়ে ব্যাংক চেক  আদায় করে সাড়ে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পুনরায় অচেতন করে  ৬০ শতক জমি দলিল রেজিস্ট্রি করে নেয়।
তাদের আমরা ভয় পাই। তাই তাদের খারাপ বলবেন না।

তাপরেও আমরা তাদের ভালোবাসি, স্নেহ করি, সমর্থন করি। এসব কান্ডে ভয়ে ভয়ে বলতে চাই – তোয়ারে কিয়ে নকুলার ও বদ্দারে, আইজো কেন এই খাছিলত। হাত গলাই দি পরর জেপত, ছোলাই খনর অভ্যাস কেয়া নপেলর অ বদ্দারে।  নেতা হবে? নাকি ছোলা গাজী হবে? উপজেলা স্বপ্ন দেখে, দলের সভাপতির স্বপ্ন দেখে, এসব আকাম কূকামের প্রতিরোধে স্বপ্ন দেখতে পারো না? তুমি নবাব, তা মানি। পরিবারের অন্যরা যেভাবে রাজনীতি, ছোলানীতিতে নেমে পড়েছে মনে হয় অচিরেই তোমার প্রস্থান হবে। তাতে কোন সন্দেহ নেই। এক পরিবারে এতজন একসঙ্গে পাপ করলে সের পুরাতে বেশি দেরী হবে না। যখন আধা কেজি হয়েছিল তখন তোমাদের জন্য আমরা সবাই কেঁদেছিলাম। এখন দেখছি লেজ আবার বাঁকা। তাই একটু খেয়াল করো তোমাদের সাথে বিপদমুক্ত দূরত্ব রেখে সবাই মিশতে চায়।

বিয়ে, সংসার, রাজনীতি, সমাজনীতি, কোন জায়গায় তোমাদের সততা আছে। আমাদের বোধগম্য নয়। তাহলে তুমি কি ভাবে নেতা হবে? এ যুগে প্রত্যেক ঘরে উচ্চ শিক্ষিত লোক থাকবে তুমি তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না। কারণ তোমার সে যোগ্যতা নেই। হয়তো তোমার উপর অন্যের হাত চলে আসবে। যার কথা বললাম মনে হয় সবায় বুঝে গেছেন।

প্রশাসনকে বলতে চাই এসব লোকের শায়েস্থ করা জরুরি। না হয় কেউ নির্বিঘ্নে কোন কাজ করতে পারবে না। আপনারা চোখ খুলে দেখেন অন্যের জমিতে প্রজেক্ট করেছে, পরের টাকায় দালান, প্রতিবেশীর জমি দখল, বিচার বাণিজ্যের নামে টাকা আদায় এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। মনে হয় রাজবংশ, ছোট বড় সবাইকে সমীহ করতে হবে, টাকা দিতে হবে, গালমন্দ করলে শুনবেন উত্তর দিবেন না।

তাদের নৈরাজ্যের খতিয়ান ইতিমধ্যে আমাদের হাতে। আমরা যথাসময়ে প্রকাশ করবো তোমাদের জ্বালায় ভালো মানুষ রাজনীতি করে না। তাই তোমরা খালি মাঠে গোল দিতে পারো। প্রশাসন হয়তো কঠোর প্রতিরোধ গড়বেন। অনেক উচ্চ স্তরে তাদের কুকর্মের খবর চলে গেছে। হয়তো সামলানো কঠিন হবে।

ভাই আমরা স্বস্তি চাই। আমাদের বেশি পথ নাই। আমরা আমাদের জায়গায় থাকতে চাই।পালাতে পারবো না।