অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের আরও ২৭১টি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের সরকারি আদেশ (জিও) জারি হয়েছে।
রোববার (১২ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব নাসিম খনম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশটি জারি হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার পর আজ আদেশ জারি করা হলো।
এ ২৭১টি কলেজে রয়েছেন অন্তত ১০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী। আজ থেকেই তারা সরকারি বেতন-ভাতাসহ সব সুবিধা পাবেন।
সরকারি হওয়া কলেজগুলোর মধ্যে- ঢাকা জেলার চারটি, মানিকগঞ্জের চারটি, নারয়ণগঞ্জের তিনটি, মুন্সীগঞ্জের তিনটি, গাজীপুরের তিনটি, নরসিংদীর চারটি, রাজবাড়ির দুটি, শরীয়তপুরের চারটি, ময়মনসিংহের আটটি, কিশোরগঞ্জে ১০টি, নেত্রকোনার পাঁচটি, টাঙ্গাইলে আটটি, জামালপুরে তিনটি, শেরপুরে তিনটি, চট্টগ্রামে ১০টি, কক্সবাজারে পাঁচটি, রাঙামাটিতে চারটি, খাগড়াছড়িতে ছয়টি, বান্দরবানে তিনটি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ফেনীতে একটি করে, কুমিল্লায় ১০টি, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ছয়টি, চাঁদপুরে সাতটি, সিলেটে নয়টি, হবিগঞ্জে পাঁচটি, মৌলভীবাজারের পাঁচটি, সুনামগঞ্জে আটটি, রাজশাহীতে সাতটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি, নাটোরে তিনটি, পাবনায় সাতটি, সিরাজগঞ্জে তিনটি, নওগাঁ জেলায় ছয়টি, বগুড়ায় ছয়টি, জয়পুরেহাটে একটি, রংপুরে সাতটি, নীলফামারীতে চারটি, গাইবান্ধায় চারটি, কুড়িগ্রামে সাতটি, দিনাজপুরে নয়টি, লালমনিরহাটে তিনটি, ঠাকুরগাঁয়ে একটি, পঞ্চগড়ে চারটি, খুলনায় পাঁচটি, যশোরে পাঁচটি, বাগেরহাটে ছয়টি, ঝিনাইদহে একটি, কুষ্টিয়ায় দুটি, চুয়াডাঙ্গায় দুটি, সাতক্ষীরায় দুটি, মাগুরায় তিনটি, নড়াইলে একটি, বরিশালে ছয়টি, ভোলায় চারটি, ঝালকাঠিতে তিনটি, পিরোজপুরে দুটি, পটুয়াখালীতে ছয়টি, বরগুনায় তিনটি।
এই ২৭১টি বেসরকারি কলেজ সরকারি হওয়ার পর পর দেশে মোট সরকারি কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠান হলো ৫৯৮টি। এতদিন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসাসহ সরকারি কলেজের সংখ্যা ছিল ৩২৭। এখন সরকারি হওয়া শিক্ষকদের অবস্থান, বদলি ও পদোন্নতি বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হবে নতুন বিধিমালা অনুযায়ী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০১০ সালে সরকারি স্কুল ও কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে ৩২৯টি স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ জাতীয়করণে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) কর্মকর্তারা সরজমিন পরিদর্শন করে স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্যসহ আনুষঙ্গিক সব তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের সব সম্পত্তি সরকারকে ডিড অব গিফট (দানপত্র) দলিল করে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। স্কুলগুলো ধাপে ধাপে জাতীয়করণ করা হলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতির চাপে আটকে যায় কলেজ সরকারিকরণ।
চিঠিতে লেখা হয়, ৩২৯টি স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ সরকারিকরণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে সরকারিকরণ কার্যক্রমের জন্য চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়নি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুন সরকারিকরণকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ শুরু হচ্ছে। এজন্য আগামী অর্থবছরে সরকারিকরণকৃত ৩২৭টি স্কুলের জন্য ৩৪৯ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার এবং ২৯৯টি কলেজের জন্য ৬২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে ৩৩৫টি সরকারি কলেজ রয়েছে। ৩১৫টি উপজেলায় কোনো সরকারি কলেজ নেই।
কলেজের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।