সাইফুল ইসলাম বাবুল
কিসের এত অহংকার তোর। মনে রাখবি অহংকার পতনের মূল। মানুষের নিজের বলতে কি এমন আছে যা নিয়ে গর্ব করতে পারে অথবা দাবি করতে পারে। আসলে কিছুই নেই। সবইতো অন্যের দান। আর এই দান নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য। আর তাও বরাদ্ধ করেছের সৃষ্টির কল্যাণে।
সূরা লোকমান (মক্কায় অবতীর্ণ)
(৩১:১৮) অর্থ- অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেনা।
হযরত আলি( রাঃ) বলেছেন, মানুষের কিসের এত অহংকার।যার শুরু একফোটা রক্তবিন্দু দিয়ে আর শেষ হয় মৃত্তিকায়।
কিন্তু আমরা মানুষ কতইনা বিচিত্র। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বরাদ্ধকৃত দানসূলভ পাওয়া এই জীবনটা নিয়ে কত কি—ই না করে থাকি। ভাবতো একবার এই জিবনটাকে নিয়ে………..।
তারপর শুরু কর নতুন করে যা দেখে অবাক পৃথিবী তাকিয়ে রয় এর বাস্তবায়ন হবে।
জন্ম- অন্যজনের দান।
নাম- অন্যজনের দান।
শিক্ষা- অন্যজনের দান।
রোজগার- অন্যজনের পয়সা।
শেষ যাত্রা- অন্য কেউ নিয়ে যাবে।
এতকিছুর পরও তবে কিসের এত অহংকার? যদি ভুলেও কখনো গর্ব হয় এ্ই ভেবে যে, আমি ছাড়া পৃথিবী অচল। ঠিক তখনই পুর্বপুরুষদের ছবির দিকে তাকালে দেখবি উত্তর পেয়ে যাবি। তাঁরা নেই বলে কি দুনিয়া থেমে আছে? না দুনিয়া কারো জন্যে থেমে নেই এবং থেমে থাকবেও না। নিয়তির নিয়মে দুনিয়া ঘূর্ণায়মান।
৮৪ লাখ প্রাণীর বাস এই পৃথিবীতে। এদের মধ্যে একমাত্র মানুষই শুধু রোজগার করে, বাকী সব প্রাণীরা কিন্তু অনাহারে মরে না। সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে খাওয়ায় ও সাজায়।
মানুষই একমাত্র প্রাণী যাদের পেট কখনো ভরে না। যত পাই তত খাই এবং তত চাই। এই চাহিদার পুরণে মানুষের মৃত্যু এবং দু:খ ও যন্ত্রণা নেমে আসে।
এখন একটু ভাব এবং নিজের জীবনের রহস্য উন্মোচন কর। আগামী দিনে ঐ উন্মোচিত জীবন নিয়ে বাকি দিনগুলো অতিবাহিত কর। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে আশির্বাদ করুক যেন আমরা তাঁর সৃষ্টির মাহত্ম বুঝতে পারি এবং সেই অনুযায়ী চলতে পারি।