ডেস্ক নিউজ:
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেফতার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এর ফলে এখন তার মুক্তি পেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আইনজীবী ছানোয়ার হোসাইন জানান, হাসনাত করিম দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতার রয়েছেন। চার্জশিটে নাম না থাকায় তাকে মুক্তির জন্য ট্রাইব্যুনালে আর্জি জানানো হয়। বিচারক আর্জি মঞ্জুর করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহিত দেন।

বুধবার (৮ আগস্ট) বহুল আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। চার্জশিটে তার নাম না থাকায় আইনজীবীরা তাকে অব্যাহতির আবেদন জানান। পরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারক মজিবুর রহমান আবেদন গ্রহণ করে তাকে অব্যাহতি দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

গত ২৩ জুলাই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।

আসামিদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং দুইজন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর।

পলাতক দুইজন হলেন- শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। অভিযোগপত্রে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতিদানের সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে তাদেরকেও অব্যাহতি দেন বিচারক। অব্যাহতি পাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও পাঁচজন হলি আর্টিসানেই নিহত হয়েছেন।

গুলশানের হলি আর্টিসানে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত পাঁচজন হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত ৮ জন হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।