চকরিয়া সংবাদদাতা:
চকরিয়া মালুমঘাট ষ্টেশন সংলগ্ন ১নং ওয়ার্ডের মোঃ শাহ আলম ভিলেজারের বসতবাড়ীতে আগুন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত ৭ই আগষ্ট ভোর রাতে এলাকার চিহ্নিত দখলবাজদের দেয়া আগুনে বাড়ীর অর্ধাংশসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে এ ভিলিজারের দেড় লক্ষ টাকার মত ক্ষয়-ক্ষতি দেখা গিয়েছে।
জানা যায়, ডুলাহাজারা বনবিটের ভিলেজার মোঃ শাহ আলম, অত্র এলাকার মৃত ভিলেজার লাল মিয়ার পুত্র। তিনি উক্ত বনবিটের অধীনে তার মৃত পিতার পরিবর্তে অদ্যাবধি ভিলেজারী দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ভিলেজারেরা জানান, মোঃ শাহ আলম তার পিতার পরিবর্তে ভিলেজারী দায়িত্ব পালনকালে দীর্ঘ কয়েক বছর পূর্বে এলাকার কিছু বখাটে দখলবাজেরা তাহার পিতার ভোগদখলীয় ভিলেজারী জমি-জায়গা কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এর বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়ার আগেই তার বসতবাড়ীতে আগুন দিয়েছে বলে দৃশ্য বিদ্যমান।
ভিলেজার মোঃ শাহ আলম এ প্রতিবেদককে জানান, অত্র এলাকার চিহ্নিত দখলবাজ বনখেকো ও ভূমিদস্যূরা দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ আমার বসতবাড়ী দখলে নিতে মরিয়া। এতে আমি সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করায় ৭ই আগষ্ট ভোর রাতে আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে আমার বসতবাড়ীর অর্ধাংশসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষ টাকা হবে। তারা আগুন দেওয়ার পরে বাড়ীতে থাকা মহিলাদেরকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় বন্দুক ঠেকিয়ে মারধর করে। এতে আহত মহিলা পাখি ও পারভিনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও অত্র বিট কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। চিহ্নিত দখলবাজ র্দুবৃত্তরা হলেন, অত্র ১নং ওয়ার্ডের মৃত মনিরুজ্জামানের পুত্র সাহাব উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন, আহমদ কবিরের পুত্র আবু ছৈয়দ, আহমদ শফির পুত্র নুরুল আলম ও রবিউল আলম, মৃত ভূইজ্ঞার পুত্র জয়নাল আবেদীন গংরা আমার বসতবাড়ীতে আগুন দেয়। বিধায় উক্ত বিষয়ে আইনানুগ সহযোগীতার জন্য বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।