সোয়েব সাঈদ, রামু:
রামু উপজেলার চাকমারকুল, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ও রাজারকুল ইউনিয়নে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল। সোমবার (৬ আগষ্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়ে হেটে, নৌকা, টমটম গাড়ি ও মটরসাইকেলে চড়ে তিনি এ ৩টি ইউনিয়নের ২০টিরও বেশী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত, বসত বাড়ি, বেড়িবাধ ও অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সাংসদ কমল বলেন, সহসা ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে। প্রতিবছর বর্ষামৌসুমে অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গ্রামীন সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে এ ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্যও পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। জনকল্যাণে সরকার সব কিছুই করেছে। যার অংশ হিসেবে ২০২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁকখালী নদী খনন ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। গ্রামীন সড়কগুলো এখন ব্রিক সলিং-কাপের্টিং ছাড়াও আরসিসি ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
এমপি কমলে আরো বলেন, কক্সবাজার ও রামুতে স্বাধীনতার পর থেকে যে উন্নয়ন হয়েছে তার বেশী উন্নয়ন বিগত সাড়ে ৪ বছরে হয়েছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামীতেও তিনি নৌকা প্রতীককে বিপুল ভোটে জয়ী করার আহবান জানান।
পরিদর্শনকালে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক কোম্পানী, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সাংসদ কমল সহ নেতৃবৃন্দ সকালে চাকমারকুল ইউনিয়নের মিয়াজীপাড়া, চরপাড়ায় বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এসময় সংক্ষিপ্ত পথ সভায় সাংসদ কমল স্থানীয় জনতার দাবির প্রেক্ষিতে মিয়াজীপাড়া ও চরপাড়া সংযোগস্থলে একটি সেতু নির্মাণের ঘোষনা দেন। সমাবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক কোম্পানী ও চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদারপাড়া চরপাড়ার চারপাশে বন্যারোধে বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ, সোলার প্যানেল প্রদান এবং এলাকার চলাচলের সড়ক ব্রিকসলিং দ্বারা উন্নয়নের ঘোষনা দেন।
এমপি কমল সহ নেতৃবৃন্দ দুপুরে নৌকাযোগে চরপাড়া পরিদর্শন করে দক্ষিণ মিঠাছড়িতে যান। সেখানে নেতৃবৃন্দ মোক্তারবাপের পাড়া, দক্ষিণ মিঠাছড়ি চর পাড়ায় বন্যায় তলিয়ে যাওয়া সড়ক ও সেতু, ছরারকুল গ্রামে খালের ভাঙ্গনে বিলীন হওয়া বসত বাড়ি দেখতে যান।
বিকালে এমপি কমল, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ রাজারকুল ইউনিয়নের শর্মাপাড়া ও শিকলঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেন। এসময় সাংসদ কমল নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষনা দেন। দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকেও অনুরুপ সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান।
এসব এলাকা পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে রামু উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া, একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কালাম আজাদ, যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরকান, উত্তম মহাজন, সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারি আবু বক্কর ছিদ্দিক, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু তাহের ও সাহাব উদ্দিন, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম, উপজেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি একরামুল হাসান ইয়াছিন সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সাংসদ কমল, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ নৌকা, টমটম ও মোটর সাইকেলে চড়েই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় এমপি কমল পথে পথে ও গ্রামীন ষ্টেশনগুলোতে পথচারিসহ সর্বস্তরের জনতার সাথে কুশল বিনিময় করেন। বিষয়টি এসব এলাকার সাধারণ জনমনে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
রামু উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়–য়া জানান, এমপি কমল মাটি ও মানুষের নেতা। তাই তিনি জনকল্যাণে অতীতের মত এখনো নিজেকে উৎসর্গ করে চলেছেন। অন্যান্য নেতাদের মত তিনি কখনো বিলাসীতায় গা ভাসিয়ে দেননি। যে কারনে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।