এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
আগামী একাদশ নির্বাচন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় প্রস্ততি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বিকশিত করতে চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির উদ্যোগে বিশেষ বর্ধিত বুধবার পহেলা আগস্ট উপজেলা পরিষদ সড়কের দলীয় কার্যালয়ে চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিন মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও কক্সবাজার জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পাটির যুগ্ন সম্পাদক আসমাউল হোসনা, জেলা পরিষদের নারী সদস্য রেহেনা খানম রাহু, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল আমিন, চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, হারবাং ইউনিয়ন জাতীয় পাটির সভাপতি মাস্টার অংকে ছিং, পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম. দিদারুল করিম, চকরিয়া পৌরসভা জাতীয় পাটির সভাপতি জসিম উদ্দিন কমিশনার, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মেম্বার, সাবেক সভাপতি টিপু সোলতান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা মহিলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জোসনা আকতার, সাধারণ সম্পাদক সজরুন নাহার বুলু, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা মহিলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হুমাইরা বেগম, চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক পাটির সাধারণ সম্পাদক রুবেল, মাতামুহুরী জাতীয় যুব সংহতি সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মানিক, হারবাং ইউনিয়ন জাতীয় পাটির সহসভাপতি নজির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ মেম্বার। এমপির সহকারি নাজিম উদ্ধিন ছাড়াও চকরিয়া উপজেলা, চকরিয়া পৌরসভা, পেকুয়া উপজেলা ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা জাতীয় পাটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় প্রধান অতিথি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপির হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পাটিতে যোগদান করেন হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ করিম ও বাবুল উদ্দিনসহ স্থানীয় বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ।
সভায় হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি বলেছেন, বর্তমানে সারাদেশে জাতীয় পাটিতে সকল পেশার মানুষ যোগদান করছেন। জাতীয় পাটিতে যোগদানে প্রমাণ করে দেশে সুশাসন ও জনগনের কল্যানে উন্নয়নের জন্য পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশার সরকারের বিকল্প নেই। জাতীয় পার্টি কোন ধরণের নৈরাজ্য ও অপরাজনীতি করেনা। বাংলাদেশকে উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে এবং আত্মনির্ভরশীল অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তথা জাতীয় পার্টির সরকার দরকার।
তিনি বলেছেন, এরশাদের সফল নেতৃত্বে ৯বছরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেই ধরণের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা এরশাদের শাসনামল ছাড়া আর কোন সরকার সময়ে করতে পারেনি। এরশাদের শাসন ছিল দেশের হতদরিদ্র, কৃষক শ্রমিক,গরীব অসহায় মানুষের জন্য স্বর্ণের যুগের শাসন।
তিনি আরও বলেন, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকে চকরিয়া-পেকুয়া এলাকার প্রতিটি জনপদে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছি। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির থেকে শুরু করে প্রত্যেক ধর্মীয় উপসানালয়ে ব্যাপক ভাবে উন্নয়ন কাজ করেছি। অতীতের মতো আগামীতেও জনগনের পাশে থেকে দুই উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে সকলের সহযোগিতা চাই।