চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
নিরাপত্তার অজুহাতে চট্টগ্রামে সকল পরিবহন বন্ধ রাখায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। কর্মজীবি মানুষদের জন্য এ ধর্মঘট অভিশাপে পরিণত হয়েছে। কোন প্রকার যানবহন চলাচল না করায় পুরো নগরী রিকশার দখলে চলছে।
সরেজমিনে নগরীর চকবাজার গুলজার মোড়ে দেখা যায়, কোন প্রকার লোকাল বাস, সিএনজি অটোরিক্সা, টেম্পু চলাচল করছে। যে কয়েকটি সিএনজি চলাচল করছে পরিবহন শ্রমিকরা তা বন্ধ করে দিচ্ছে।
বারোটার দিকে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসীন কলেজের শিক্ষার্থীরা ধানমণ্ডি দলীয় কার্যলয়ে হামলার প্রতিবাদে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের করে অলি খা মসজিদ এলাকা থেকে অাবার কলেজ কাম্পাসে ফিরে যায়। এরপর সিএনজি ও টেম্পু শ্রমিকরা অলি খা মসজিদ থেকে মিছিল বের করে গণি বেকারীর দিকে চলে যায়। এসময় শ্রমিকরা কয়েকটি সিএনজির তার ছিড়ে বন্ধ করে দেয়।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। কোন যানবাহন চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে দূর দূরান্ত থেকে অাসা রোগিরা। নগরীর ডিসি রোড থেকে অসুস্থ বাবাকে চকবাজার কাচা বাজারের মুখে অাসে সাদ্দাম অাহমদ নামে যুবক। চট্টগ্রাম মেডিকেলে যাওয়ার জন্য দদীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর কোন সিএনজি না পেয়ে রিকশা নিলে বিশ টাকার ভাড়ায় ৪০ টাকা দাবি করে রিকশা চালক। নিরুপায় হয়ে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়েই মেডিকেলে যায় সাদ্দাম।
মোরশেদ নামে এক যুবক অফিসের কাজে মোহরা যাবে। কিন্তু কোন বাস বা সিএনজি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান তিনি।
জানতে চাইলে দিদার নামে এক সিএনজি চালক জানান, অামরা রাস্তায় নামতে পারি না। কখনো ট্রাফিক হয়রানি করে, অাবার কখনো ছাত্রদের মাঝে কোন ঝামেলা হলে অামাদের গাড়ি ভাংচুর করে। অামরা কখনো ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন দূর্ঘটনা করি না। তারপরও অামাদের উপর সব দোষ। শিক্ষার্থীরা পুরো শহরে অান্দোলন করছে, ভোগান্তি হচ্ছে অামাদের। অামরা এসব সমস্যা ও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য অাজ (রোববার) পরিবহন বন্ধ রেখেছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।