শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজারেও হঠাৎ করে নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১০টার পর থেকে বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয়ের সহ-স্রাধিক শিক্ষার্থী হঠাৎ রাস্তায় নেমে এসে যানবাহনের লাইসেন্স তল্লাশী করে। এসময় লাইসেন্স না থাাকায় অনেক গাড়িও আটকে রাখা তারা। তবে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কলেজ-বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহায়তায় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এসে দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার সরকারি কলেজ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী, কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল, সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্তত সহ-স্রাধিক শিক্ষার্থী শহরের প্রধান সড়কের ঝাউতলা, বার্মিজ মার্কেট, বাসটার্মিনাল, সার্কিট হাউজ সড়কের শহীদ মিনার পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা গণপরিহন ও সরকারি-বেসরকারিসহ সব ধরণের গাড়ির ও চালকের লাইসেন্স তল্লাশী করে। লাইসেন্স না থাকায় অর্ধশত গাড়িও আটকে দেয়। তল্লাশীর পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থীর হাতে নানা ধরণের শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান করে যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স তল্লাশীকালে প্রবল যানজট সৃষ্টি হয়। পুরো সময় ধরে এই যানজট লেগে থাকে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এভাবে দেড়ঘণ্টা অতিবাহিত হয়। কলেজ-বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনসহ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের সাথে ছিলো বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যও। এসময় নানাভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয়। তবে দাবি মেনে নেয়ার কথা জানায় শিক্ষার্থীরা। দাবি মানার আশ্বাস দিলে দু’ঘন্টার পর রাস্তা থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিরাপদ ও যানজটমুক্ত শহর, আধুনিক পর্যটন নগরী গড়ে তুলতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকদের সমন্বয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও ছাত্রদের পক্ষ থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দাবি তুলে ধরা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। তারপরও শিক্ষার্থীরা না বুঝে রাস্তায় নামছে। কক্সবাজারেও কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নামলে তাদের দাবি মানার বিষয়ে আমরা তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারা তা বুঝে রাস্তা থেকে সরে গেছে ।’