আবদুল মজিদ,চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শিবপাহাড়স্থ দীর্ঘ ২ শত বছরের প্রাচীনতম সর্বজনীন শিব মন্দির ও নাথ শ্বশানের জমি জবর দখলেরর অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ৩আগষ্ট শুক্রবার বেলা ২টায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাথশ্বশান মন্দিরের পুরোহিত সুকুমার চক্রবর্তী, নাথশ্বশান মন্দির উন্নয় কমিটির সভাপতি সুধাংশু বিমল নাথ, সাধারণ সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন নাথ, কোষাধ্যক্ষ লাল মোহন নাথসহ নাথশ্বশান মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্বস্তরের জনসাধারণ।
নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু রশিদ আহমদের পুত্র মুরাদ উদ্দিন গং দীর্ঘদিন ধরেনাথশ্বশান মন্দিরের জমি জবর দখল করে প্লট হিসেবে বিক্রির পায়তারা চালাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নাথশ্বশান মন্দিরের নামীয় বিএস ৩২২২ দাগের বাট্টা ৪২৬৮ এর ২০শতক জমি জোর পূর্বক জবর দখল করে ঘেরা-বেড়া দিয়েছে।মন্দিরের ওই জমিতে হিন্দুদের লাশ রেখে আধ্যশ্রাদ্ধেয় করা হত। কিন্তু দখলবাজরা তা উপেক্ষা করে দীর্ঘ ২শত বছরের নাথশ্বশান মন্দিরের ২০শতক জমি জবর দখলে নিয়েছে। এনিয়ে নাথশ্বশান মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বাদী হয়ে স্থানীয় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হারবাংয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম ছাত্তার, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা মজমুন নাহার সার্ভেয়ার, দফাদার ও চৌকিদার এবংনাথশ্বশান মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ৩আগষ্ট সকাল ১১টায় সরে জমিনে গিয়ে জমি পরিমাপ করেন। এদিকে প্রশাসনের কাছে অভিযুক্ত দখলবাজ মুরাদ উদ্দিন গং থেকে শ্বশানের জমি উদ্ধার এবং পূর্বক শাস্তি দাবী করেছেন। তারা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, হারবাংয়ে মন্দির-শ্বশানের জমি দখল সংক্রান্ত এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।