সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজারের স্বনাম ধন্য আইনজীবি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদের আজ ১২তম মৃত্যু বার্ষিকী । তিনি হাজী আবুল উকিল নামেও পরিচিত ছিলেন। এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ মূলত ঈদগাহ মাছুয়াখালী বর্তমান (রশিদ নগর,সিকদার পাড়া) তমিজ উদ্দিন সিকদারের দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন। বড় ভাই কক্সবাজার টেকপাড়া এলাকার বাসিন্দা মরুহুম আলম মিয়া, তৎকালীন মাছুয়াখালীর সিকদার বাড়ির পুত্র, টেকপাড়ার নিবাসী মরহুম এডভোকেট সরওয়ার কামালের চাচা ও কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির সিনিয়র এডভোকেট ও সাবেক সভাপতি মুরহুম এডভোকেট সাহাব উদ্দিনের মামা।
তিনি কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় দুই বার সভাপতি, তৎকালীন কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির প্রথম জিপি হিসাবে নিয়োগ লাভ কক্সবাজার জেলা বার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সদস্য হিসাবে পেশাগত জীবনে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি কক্সবাজার সোনালী ব্যাংক, কক্সবাজার রুপালী ব্যাংক, নিরিবিলি গ্রুপ সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল এডভাইজার ছিলেন। সামাজিক জীবনে বিভিন্ন সামাজিক কার্যকালাপ সহ বইল্ল্যাপাড়া মসজিদের উপদেস্টা পরিষদের সদস্য, বইল্ল্যাপাড়া ডি- ওয়ার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, তৎকালীন বইল্ল্যাপাড়া আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি, কক্সবাজার বালিকা মাদারাসা সভাপতি, সামাজিক জীবনেও খ্যাতি লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি অত্যন্ত র্ধামিক,ন্যায়পরায়ণ ছিলেন ।
বর্তমান কক্সবাজারের অনেক সিনিয়র আইনজীবী ওনার কাছে আইন পেশায় হাতে কলমে দীক্ষা নেন । তিনি সবার প্রিয় আজাদ স্যার হিসাবে পরিচিত ছিল। জুনিয়রদের যারা বেশী একটা ভাল পর্যায়ে ছিল না ওনাদের নিজ হাতে নিজের স্থান সমূহে হাতে কলমে শিখেয়ে পড়িয়ে বসিয়ে দিয়ে এসেছিলেন জীবনের শেষ সময়ে।
পারেননি অর্থবিত্তের অট্টালিকা গড়তে তবে একজন প্রকৃত সমাজ সংস্কারক হিসেবে সুষ্ট, সুন্দর সমাজ গড়তে অন্যতম অবদান রেখে গেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত দানশীল। সাধ্যমত দিয়েছেন কখন ও কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। যেটুকু অলস সময় বাসায় কাটাতেন, কোরাআন তেলাওয়াত, জিকির কিংবা নফল নামাজে ব্যয় করেছেন।
সমাজ ও প্রতিবেশীর প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব হাজী আবুল কালাম আজাদ ।
তিনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও জেলার জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কক্সনিউজ টোয়েন্টিফোর ডঢকমের সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদ বাবুর পিতা।
২০০৬ সালের ২৭ জুলাই সকাল অনুমানিক ৯ টার সময় কক্সবাজার ফুয়াদ-আল-খতিব হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।