হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মওলা চৌধুরীকে মানবপাচারের একটি মামলায় (৬২/১৫) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার (২২জুলাই) ওই মামলায় তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা জজ এ.এইচ.এম মাহমুদুর রহমান তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে থাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোলাম মওলা চৌধুরী রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সর্বশেষ তিনি ২০১৬ সনে অনুষ্ঠিত গর্জনিয়া ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরে যান। তাঁর বাবা গর্জনিয়ার বড়বিল গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত রশিদ আহমদও বৃহত্তর গর্জনিয়ার চেয়ারম্যান ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গোলাম মওলা চৌধুরী তাঁর মালিকানাধীন- কক্সবাজার শহরের হোটেল ওভাল থেকেই মানবপাচারের মতো জঘন্য কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। ২০১৫ সনের একটি ঘটনায় তিনি’সহ আরও দুজন ফেঁসে যান। এ নিয়ে ওই সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় র্যাব বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের নাম না আসায় অধিকতর তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করার জন্য বিজ্ঞ বিচারক, সদর মডেল থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পদ মর্যদার কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। অবশেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ একরাম- গোলাম মওলা চৌধুরী ও গর্জনিয়ার থিমছড়ির নুরুল আলমসহ তিনজনকে মানবপাচার মামলায় আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।