‘কক্সবাজার এলও অফিসে দুর্নীতি’ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গতকাল বুধবারের (১৮ জুলাই ২০১৮ ইং) স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যাদি মিথ্যা ও বানোয়াট। কক্সবাজার এলও অফিসে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা, ক্ষতিপুরণের চেক তুলে নেওয়ার আগে কমিশন দাবি, কাজের জন্য বসদের টেবিলে টেবিলে টাকা পৌঁছে দেওয়া ও ক্ষতিপূরণের আবেদনকারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নেওয়া সহ যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যাও ভিত্তিহীন।
কক্সবাজার রেল প্রকল্পের ঝিলংজা, নাপিতখালী ও ঈদগাঁও কেন্দ্রিক এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন কথিত সার্ভেয়ারদের সিন্ডিকেটে জিন্মি হয়ে পড়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই। এলও অফিসে বাস্তবে কোন সিন্ডিকেট নেই। বাস্তবে জেলা ব্যাপি ৬২ টি মেগা প্রকল্পের অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপুরণের টাকা জমির মালিকদের নিকট স্বল্প সময়ে পরিশোধের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের নির্দ্দেশ রয়েছে। জনগনের ভোগান্তি লাঘবে জেলা প্রশাসকের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকারি নির্দ্দেশে কক্সবাজারে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় ৭ জন ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও), ৪ জন অতিরিক্ত ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, ৪ জন কানুনগো ও ৪৭ জন সার্ভেয়ার।
জনগনের সুবিধার্থে প্রকল্পগুলোর কাজে গতি আনার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় বিপুল সংখ্যক ভুমি অধিগ্রহন শাখার কর্মকর্তাদের নিয়ে টিম গঠণ করে দেন। যেমনি ৪৭ জন সার্ভেয়ারদের নিয়ে ৭ টি টিম গঠণ করা হয়। তার মানে এটা কোন সিন্ডিকেট নয়। মূলত অধিগ্রহণ করা জমির প্রতিজন ক্ষতিগ্রস্থের জমি সরেজমিন পরিদর্শন পুর্বক মালিকানা নির্ধারণ, জমির পরিমাপ ও দখল এবং দালিলিক স্বত্ব নিশ্চিত করার জন্য গঠিত সার্ভেয়ারের টিম সমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এতে কোন কারচুপি বা জালিয়াতির সুযোগ নেই। তদুপরি এক নম্বর গ্র“পের কাজ নিয়ে প্রতিবেদনে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মনগড়া। তাছাড়াও মেরিন ড্রাইভের অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাও কাল্পনিক। কেননা মেরিন ড্রাইভের যাবতীয় নথি কাজের সুবিধার্থে অনেক আগেই সার্ভেয়ারের এক নম্বর টিমের নিকট থেকে নিয়ে অন্য টিমের কাছে প্রদান করা হয়েছে। ওই টিমের সদস্যরাও যথারিতী অত্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।
বাস্তবে অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানে জমির মালিকানা থেকে দখলস্বত্ব পর্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্যই মাননীয় জেলা প্রশাসক সার্ভেয়ারদের নিয়ে একেকটি টিম গঠণ করে দেন। প্রতিটি টিম অত্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে কাজ করছেন। অভিযোগকারি এবং অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ-কেউ যদি ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন তাহলে যথারীতি আরো ব্যাপক যাচাই বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ অফিসের দ্বারস্থ হবার সুযোগ রয়েছে। অহেতুক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প সহ জেলার মেগাা প্রকল্পগুলোর জমি অধিগ্রহণের টাকা ছাড় নিয়ে অপপ্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত- কক্সবাজার জেলার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার সহ মেগা প্রকল্পগুলোর অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানকাজে নিয়োজিত কর্মীবৃন্দ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।