শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :
কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য মনির আহমদের পুত্র জিয়াউল হক জিয়াকে হয়রানী ও ক্ষতিসাধন করার কু-মানসে মিথ্যা মামলা দিয়ে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মনির আহমদের পুত্র কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক চৌফলদন্ডী পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা জিয়াউল হক জিয়া। ১৭জুলাই বিকালে ঈদগাঁও বাজারে একটি রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্যে জিয়াউল হক অভিযোগ করে বলেন, তার বাবা চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড থেকে বার বার মেম্বার নির্বাচিত হয়ে আসছে।সে সুবাদে আমার পরিবারের একটি ঐতিহ্য রয়েছে পুরো ইউনিয়নে।সামাজিক ভাবে আমারও গ্রহনযোগ্য রয়েছে ।আমি এলাকায় সমাজ সেবা মুলক কর্মকান্ড করতে গিয়ে বিগত সময়ে বিএনপি সরকারের আমলে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের প্রত্যক্ষ ইন্দনে আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ প্রশাসন। বর্তমানে সবকটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। এতে আমার বাবা ও পরিবারের সদস্যদের জনপ্রিয়তার প্রতি ইর্ষানিত হয়ে ঐ চক্রটি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা দায়ের করে আসছে।তার ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালেও এ চক্রটির প্রত্যক্ষ ইন্দনে ষড়যন্ত্রমূলক আরো কয়েকটি মিথ্যা মামলায় আসামী করে হয়রানি করে আসছে। এসব মামলায়ও বর্তমানে জামিনে রয়েছি। ২/৩ টি মামলা খারিজ করে দেয় বিজ্ঞ আদালত। এ সময় লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করে জিয়া বলেন,ঐ কুচক্রী মহলটি ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষ গত ১৬ জুলাই চৌফলদন্ডী পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে সাবেক মেম্বার কবির আহমদের পুত্র একরাম মিয়াকে আটক করে পুলিশ।তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ইয়াবা মামলাতেও আমাকে ২নং আসামী করা হয়েছে।তাকে আটকের সময় আমি সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এডভোকেট একরামুল হুদা ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বিকাল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের পক্ষে গনসংযোগ ও প্রচারনায় শহরে ব্যস্ত ছিলাম। মামলার এজাহারে আমি পালিয়ে গেছি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা হাস্য রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। জিয়াউল হক বলেন,স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে একরাম মিয়াকে ধৃত করা হয়েছে বিকাল ৪ টায়, মামলায় দেখানো হয়েছে সন্ধ্যা ৭টায়। দঃবি ১০২ ধারা অনুযায়ী কাউকে আটক কিংবা মালামাল জব্দের সময় স্থানীয় লোকদের সাক্ষী নেওয়ার বিধান থাকলেও নেওয়া হয়েছে ৬ কিঃমি দূরের এক যুবকের।এমন কি গনমাধ্যমে প্রকাশিত চৌফলদন্ডী থেকে ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী আটক শীর্ষক সংবাদে আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়ার নির্দেশে এসআই শাহাজ উদ্দীন, এএসআই মহিউদ্দীন অভিযান চালিয়ে আটক করে বলে প্রচার হলেও মামলায় দেখানো হয়েছে ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ও এএসআই নছিমুদ্দীনের নেতৃত্বে ধৃত করা হয়েছে।এ থেকে বুঝা যায় আমাকে জড়িয়ে দেওয়ার কারনটা কি! ধৃত একরামের পরিবারের সাথে আমার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন জমির বিরোধও চলে আসছে।এখন আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।তারা আমাকে জানে মেরা ফেলারও সম্ভবনা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্থানীয় মুরুব্বি আবুল কালাম, মোস্তাক আহমদ, চিলা মং সহ আরো কয়েকজন বলেন জিয়াউল হক জিয়া কোনদিন অপরাধে জড়িত ছিল না। তার বাবা মনির আহমদের নির্বাচনের প্রতিপক্ষরা তাকে হয়রানীর করার জন্য কোমর বেধে উঠে পড়ে লেগেছে।জিয়াউল হক মৎস মৌসমে চিংড়ি প্রজেক্ট ও শুষ্ক মৌসমে লবন এবং ফিশিং বোটের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।এমন কি জিয়া মাদক ব্যবসা তো দূরের কথা কোনদিন সিগারেট পর্যন্ত ফুঁকেনি।।তারপরও তাকে মাদক মামলায় জড়িয়ে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।এমন কি তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দায়েরকৃত সবকটি মামলা মারামারির।কোনদিন সে রাষ্ট্র বিরোধী, জলদস্যু, মানব পাচার ও ডাকাতি, অস্ত্র ব্যবহারের কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল না। এবং মাদকের কোন মামলাও ছিল না। তারা সুস্থ ও নিরপেক্ষ বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে তাকে মামলা থেকে বাদ দিতে উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় স্থানীয় গম্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।