শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:
কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা অবৈধ বালির মেশিন বিক্রি করে দিল জিম্মাদার স্থানীয় এমইউপি।এ ঘটনায় পুরো এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারী রাজস্ব খাতে টাকা জমা করেনি জিম্মাদার ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম।
জানা যায়, চলিত বছরের ২মে সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া এলাকায় অভিযান চালায় তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স ।এ সময় সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির হেফাজতে থাকা অবৈধ একটি বালি উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন জব্দ করে ।মেশিনটি স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিকের উপস্থিতে মেম্বার সিরাজুল ইসলামের জিম্মায় দেয় ইউএনও।মেশিনটি বিক্রি করে এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি করে সরকারী রাজস্ব খাতে টাকা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি।ইউএনও নোমান হোসেনের বদলী আদেশ জারী হওয়ার পরপরই মেশিনটি ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় মেম্বার।মেশিনটির বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা হলেও অল্প টাকায় বিক্রি করে দেওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মেশিনটি এত অল্প টাকায় বিক্রি করছে নাকি উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেছে খতিয়ে দেখা হোক।বিক্রির দেড় মাস পেরিয়ে গেলও অদ্যবদি রাজস্ব ফান্ডে টাকা জমা না দেওয়ায় কর্তব্য পালনে অবহেলা নাকি অর্থ আত্মসাৎ করেছে তাও খতিয়ে দেখা সময়ের দাবী।
এ ব্যাপারে মেম্বার সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়,মেশিনটি বিক্রি করা হয়েছে।ব্যস্ততার কারনে টাকা জমা দিতে পারছি না।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিকের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন মেশিনটি বিক্রি করেছে বলে শুনেছি।মেম্বারকে জমা স্লিপ দেখাতে বলা হয়েছে।এখনো জমা স্লিপ দেখায়নি বলে জানায় তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।