বিশেষ প্রতিবেদক:
ঘুষ গ্রহণের মামলায় কক্সবাজারের কতুবদিয়া থানার সাবেক উপ পরিদর্শক (এসআই) এবিএম কামালউদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এক ‘ভূক্তভোগী’র দায়ের করা একটি মামলার ২নং আসামী হিসাবে তিনি আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক মীর শফিকুল আলম এসআই কামালের জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকালে তাকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসআই হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। ঘুষ গ্রহণ মামলার এক নম্বর আসামী কুতুবদিয়া থানার সাবেক ওসি আলতাফকে গত ১৯ জুন কারাগারে পাঠানো হয়।
এসআই কামালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বাদির দাবী, কুতুবদিয়ার ছিন্নি খাইয়া পাড়ার মৃত নজির আহম্মদ এর ছেলে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী ফরিদুল আলমকে পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে ২০১৪ সালের ১৮ জুন সকালে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ডেজি ও ছেলে অহিদুল আলম (রিয়াদ) হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ হোসেন এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করে। ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ওই বৃদ্ধা এসআই এবিএম কামাল উদ্দিনের মাধ্যমে ওসি আলতাফ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। কিন্তু ওসি আলতাফ হোসেন নুরজাহানের দায়ের করা এজাহারটি আমলে না নিয়ে উল্টো নিহতের ছেলে মোহাম্মদ তৌহিদুল আলমের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে অন্য একটি মামলা গ্রহণ করে। যে মামলায় নিহতের বৃদ্ধ মা নূর জাহান, নিহতের দুই ভাই ইস্কান্দর মির্জা ও মাহবুব আলমকে আসামী করা হয়। সেই মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন দুই ভাই।
এনিয়ে ইস্কান্দর মির্জার স্ত্রী জামিলা আকতার বাদি হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ ও এসআই এবিএম কামাল উদ্দিনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে দুদকের পিপি এডভোকেট আবদুর রহিম বলেন, বাদীনির লিখিত অভিযোগ পেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি আমলে নিয়ে দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ ওসি এবং এস আই দুইজনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা অজয় ঘোষ। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে মামলার ২ নং আসামী এসআই কামাল আজ সোমবার আদালতে আতœসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় আদালত গত ১৯ জুন ওসি আলতাফ হোসেনকে জেল হাজতে পাঠায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।