সিবিএন ডেস্ক
ভুল চিকিৎসায় সাংবাদিকের মেয়ে রাফিদা খান রাইফার মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। রবিবার (০৮ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে র্যাবের একটি দল এই অভিযান শুরু করে। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযান চলাকালে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, অভিযানে দেখা গেছে হাসপাতালটিতে ঔষধের একটি ফার্মেসি রয়েছে, যার লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। অবৈধভাবে চলছে এই ফার্মেসি। তিনি আরও জানান, হাসপাতালটির নিজেদের ল্যাবে কোনও টেস্ট হয় না। বিভিন্ন টেস্টের জন্য তারা নমুনা সংগ্রহ করে বাইরের হাসপাতাল থেকে টেস্ট করিয়ে নিয়ে আসে। আর সেসব টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয় হাসপাতালটির নিজস্ব প্যাডে।
অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে সহযোগিতা করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড. দেওয়ান মো.মেহেদী হাসান এবং ঔষধ প্রশাসনের চট্টগ্রামের তত্বাবধায়ক গুলশান জাহান।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন বিকালে গলা ব্যাথার কারণে রাফিদা খান রাইফাকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২৯ জুন রাতে রাইফার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে রাইফার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে ম্যাক্স হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক, নার্সদের শাস্তি দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। সাংবাদিক নেতাদের দাবির মুখে পুলিশ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বিএমএ নেতাদের চাপের মুখে ওই দিন রাতেই তাদের ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।
এরপর দুই পক্ষের সমঝোতায় ঘটনার তদন্তে ওইদিন রাতেই সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটি শনিবার (৭ জুলাই) রাতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টি উঠে আসে। প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।