(জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জনসংযোগ কর্মকর্তাকে নিয়ে)
মো: আকতার হোছাইন কুতুবী ॥
পৃথিবীতে কিছু আলোকিত মানুষের জন্ম হয় যাদের জ্ঞান, মেধা, মনন, আদর্শ দেশ ও জাতির সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। এমনই একজন আলোকিত মানুষ হলেন আমার হৃদয়ের গভীরে স্থান দেয়া, সাদামনের পরোপকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের গণসংযোগ কর্মকর্তা মমিনুল হক জীবন। মনে প্রাণে দেশপ্রেমিক এবং সম্পূর্ণ নির্লোভ এক চরিত্রের মানুষ তিনি। মানুষের জন্য একেবারেই নিঃস্বার্থ সেবা ও কল্যাণ করা তাঁর ছাত্রজীবন থেকে অভ্যাস। দেশপ্রেম ও দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা যেন তাঁর প্রাণশক্তি।
মানুষ যতই স্মার্ট, ভালো মানুষ হন না কেন, মানুষের মন জয় করা সহজ কাজ নয়। বাড়ির প্রবীণদের মুখে শোনা যায় কথায় মন জয় করা যায়। কথার মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা/শুভান্যুধায়ী ও বন্ধুবান্ধবদের মন জয় করেন তিনি।
আমার প্রিয় মানুষটির জীবন থেকে আরেকটি বছর চলে গেলো।
এই সুজলা সুফলা সুন্দর পৃথিবীতে তাকে আরো একটি বছর উপভোগ করার সুযোগ দিলেন বিধাতা। জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কথার ফাঁকে সরকারি এই কর্মকর্তা বলেন, আমি তাকে কি দিলাম সে কথা নিতান্তই অবান্তর। শৈবাল আবার দীঘিকে কি দিবে? অনেক অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। জন্মদিন মনে হলেই আজকাল মনে হয় সায়াহ্নের দিকে আরো এক কদম এগোনো হলো আমার। আজ এই গোধূলি বেলায় পিছনে তাকাতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। ভাবতে ইচ্ছে করে স্কুলে-কলেজে কিংবা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে ছোটবেলায় জীবনটাকে যেভাবে কল্পনা করেছি আর আজকে যে জীবন আমি যাপন করে যাচ্ছি তার কোথাও কি কোন মিল আছে? শাহনাজ রহমতুল্লাহ তার কিন্নর কন্ঠে গেয়ে চলেন, “স্বপ্ন সেতো স্বপ্নই নয়, যদি না কিছু তার সত্যি হয়”… তাহলে কি সেগুলো স্বপ্ন ছিল না আদৌ ?
সুন্দর মনের এই ভালো মানুষটি কথার ফাঁকে বলেন, আমার ছোটবেলায় জন্মদিনের সকালে ঘুম থেকে উঠেই কেমন যেনো একটা আলাদা অনুভূতি হতে থাকতো সারাক্ষণ। এই দিনটাকে শুধুই আমার মনে হতো। যতো ফুল ফুটেছে সেদিন এই পৃথিবীতে আমার জন্য, যতো শিশু হেসেছে সেও আমার জন্য। ঐ নীল আকাশ আমার ঐ দখিন হাওয়া আমার। মনে হতে থাকতো আজ এই পৃথিবীর পাখিরা অন্য সুরে গাইছে, আজ ঐ সূর্য আমার পানে চাইছে। পৃথিবীতে সাংঘাতিক একটা উলট পালট কিছু হয়ে যাবে। প্রতি বছর পত্রিকায় ছাপিয়ে যাওয়া গৎ বাধা রাশিফলটা, যার একটা লাইনও এদিক ওদিক না করে আবার উনত্রিশে আষাঢ় ওরা ছাপাতো মনের আনন্দে আবার পড়তাম। একবার নয় বারবার পড়তাম। আজ আপনার জন্মদিন হলে আপনি কর্কট রাশির জাতক কিংবা জাতিকা। জন্মসূত্রে আপনি মেধাবী, উচ্চশিক্ষার যোগ আছে, কল্পনাপ্রবন, আবেগপ্রবন, অত্যন্ত সংবেদনশীল ইত্যাদি ইত্যাদি। কাঁচি দিয়ে যতœ করে চারকোনা কেটে আবার ডায়রির পাতার মাঝে অগোছালো কিন্তু সাবধানে রেখে দিতাম স্মৃতিগুলো। কি সাধারণ সেই কথাগুলো ছিল, হয়ত প্রত্যেকদিনই এদিক ওদিক করে অন্যের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ছাড়ছে, কিন্তু আমার কাছে সেদিন কোরানের আয়াত হয়ে ধরা দিতো।
আজকাল জন্মদিন তেমন কোন বিশেষ অনুভূতি আর উচ্ছাস নিয়ে আসে না। বয়সের ঘরে আরো একটি সংখ্যার যোগফল বইতো বেশি কিছু না। তেমন কোন আলাদা চমক নেই, অবাক করে দেয়ার জন্য কেউ এসে কড়া নাড়বে না, অনেকদিন ধরে চেয়ে আসছি তেমন কিছু জন্মদিনের শুভেচ্ছাস্বরূপ উপহার হবে না। যখন যা মনে চায় কিনে নেই, চাওয়ারও কেউ নেই, দেওয়ারও কেউ নেই। নিয়মের বাইরে অবাক হওয়ার মতো খুব একটা কিছুই নেই। অফিসে যাই, সবাই শুভেচ্ছা জানায়, ফেসবুক, মেইল, এসএমএস আর ফোনতো আছেই। তারপর ভালো কোন রেষ্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া, জন্মদিন শেষ! তবে মেয়ের উৎসাহের কোন সীমা থাকে না, যেটা দেখতে খুব ভালো লাগে। মেইলে এত্তো এত্তো ই-কার্ড ফ্রী পাঠানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেকে যখন হাতে লিখে ডাক মাশুল দিয়ে কার্ড পাঠান, তখন মনে হয় আসলে কি আমি এই ভালোবাসার যোগ্য?
বন্ধু শুভাকাংখী ভালো লাগার ভালোবাসার অনেক মানুষকে পেয়েছি, যাদের যোগ্যও আমি না। আর পেয়েছি তাদের অযাচিত ভালোবাসা আর চোখ ভিজিয়ে দেয়ার মতো মমতা। একটি কথা মনে পড়ে গেলো। ছুঁতে তোমায় পাই না, কিন্তু তোমার ছোঁয়া পাই… আছে কেউ আছে, হাত বাড়ালেই আছে একটা অনুভূতি মনকে চাঙ্গা করে রাখে। এটা কি কম পাওয়া জীবনে? শুধু কোন এক হিংসুক ভদ্রলোক আমার নামের একটা ক্যরিকেচার করেছেন, যেটা আমার পছন্দ নয় ঃ) অনেক সময় ব্যস্ততায় লগ ইন করা হয় না। রাতে শুয়ে মনে হয় কি যেনো একটা রুটিন কাজ বাদ পড়ে গেছে। তবুও আপ্রান চেষ্টা করি দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মতো করে “গুঁতোগুঁতির শীর্ষে” আর পাঠক ভোটের সেরা লিষ্টটা দেখে নিতে। সময় পেলেই বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠি।
প্রিয় এই মানুষটির জন্মদিনের ম্যাসেজটি পাওয়ার পর কেমন জানি সমস্ত হৃদয়ের কোলাহল জাগ্রত হলো। কি দিয়ে অভিবাদন জানানো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তাই টুকটাক লেখাকরি চিন্তা করলাম মনের গহীন থেকে কয়েকটি লাইন ভাইয়ের জন্মদিনে উপহার স্বরূপ লিখে দিই। আমাদের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় জনপ্রশাসন মন্ত্রীর গণসংযোগ কর্মকর্তা একজন আলোকিত ব্যক্তিত্ব, সাদা মনের পরপোকারী, আমার খুব প্রিয় জনাব, মমিনুল হক জীবন ভাইয়ের শুভ জন্মদিন।
নির্বাক ঠিক ঐ কেটে ফেলা পালকের পাখির মত,
দু-চোখ দিয়ে ঠিকরে বেরোয়,
জীবনের প্রতি অথবা জন্মানোয়,
প্রবল ঘৃণা আজ আমার খুবই প্রিয় আর
প্রচন্ড ভালবাসার একজন মানুষের জন্মদিন।
তাঁর জন্মদিনে অন্তরের অন্তর্স্থল থেকে
তাঁকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মদিন-
কবিতার ছন্দে, মনের আনন্দে,
মনের মাধুরী মিশিয়ে
এক গোছা ফুলের সুবাস ছড়িয়ে দেই
কামনা করি হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে
শুভ হোক আপনার জন্মদিন।
পড়ে থাকা আমি এক অবহেলিত কবি
আমি এক নবীন কবি
হৃদয়ে আঁকা আপনারই প্রতিচ্ছবি
আপনারই জন্মদিনে কি-ই বা দেব আমি?
তাই শুধু কামনা করি শুভ হোক আপনার জন্মদিন।
আর আগামীর দিন গুলো অনেক অনেক ভাল কাটুক !
দুঃখ কষ্ট যেন আপনাকে স্পর্স করতে না পারে।
আগামীর দিন গুলো সাফল্যে ভরে উঠুক।
“সম্মুখে দীর্ঘ পথ, সোনালী ভবিষ্যৎ,
সুখী সুন্দর উজ্জ্বল হোক আপনার জীবন
লাল কৃঞ্চচূড়া আসুক বারে বার,
এমন জন্মদিন আসুক আরো শতবার।
ও Wishing you a sound health, Would like to say “happy birthday to you.” An endless blessing be with you.
অনেকের শুভেচ্ছার মাঝে আমার এই একটু খানি ভালবাসা আপনার চোখে পড়বে কিনা জানি না। আবারও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক ভাল রাখুক মহান বিধাতা। আজকের এই বিশেষ দিনে এই প্রত্যাশাটুকু থাকল।
