জিল্লুর রহমান
সম্প্রতি- রাজনীতিতে বিদ্বেষ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ঈর্ষা। রাজনীতির মূলস্রোত থেকে যারা বিছিন্ন হয়ে পড়ে তাদের মধ্যে এই প্রবণতা প্রবল।
মূলত হেরে যাওয়ার ভয় থেকে ঈর্ষার জন্ম।
অার পাঁচটা অনূভুতি বা অাবেগের মত ঈর্ষা ও একটি মানসিক অবস্থা তার ব্যাহিক প্রকাশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়
বলব শুধুই রাজনীতির কথা :
যে ব্যক্তি ঈর্ষান্বীত তার মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করে, যাকে সে ঈর্ষা করে তার মত হতে না পারা, অাত্নবিশ্বাসের অভাব, গুরুত্ব না পাওয়ার যন্ত্রনা, অন্যদের চোখে ঈর্ষানিয় ব্যক্তিকে কিভাবে ছোট করা যায় তার নিরন্তর প্রচেষ্টায় এই হীনমন্যতা জন্ম।
অাবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঈর্ষার অারেকটি কারন, তবে মূখ্য হল ব্যক্তিগত হিংসা.. যার মধ্যে নিজেকে মহান ভাবার বোধ, নিজেই নিজে সর্বেসর্বা ভাবার কূ-মানষ ইত্যাদি..
তাই অামাদের সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শরীরের জন্য স্বাস্থকর দিক ও রয়েছে। অসুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা এইডস রোগের মত ছোঁয়াছে যে নিজে অাক্রান্ত হয়ে অন্যদের ও অাক্রান্ত করে তুলে একসাথে মরার প্রহর গুনে।
রামু- কক্সবাজারের সাবেক সাংসদ শহীদ জিয়ার সর্বোত্তম অার্দশের অধিকারী সৎ সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব লুৎফর রহমান কাজল ভাই এই ঈর্ষা থেকে উত্তরণের উপায় ব্যখ্যা করতে গিয়ে বলেন,-
ঈর্ষা হচ্ছে মনের এক কাল্পনিক দানব, এই দানবীয় শক্তি মোকাবেলায় চাই অন্তরের সুপ্ত মানবিকতার প্রকাশ।
চিন্তাকে ঈর্ষা থেকে মুক্ত করাটা নিজেরই দ্বায়িত্ব বল্গাহীন রাজনীতিতে যে ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যাচ্ছে তারা পিছিয়ে চলে যাচ্ছে, তাই নিজের বোধ বিবেচনা বুদ্ধি দিয়ে বাস্তবের সাথে নিজেকে যুক্ত করে ঈর্ষাকে নিয়ন্ত্রণে অানতে হবে
এজন্য নিজেকে পরিলক্ষিত ও বাস্তবের সাথে যুক্ত করতে হবে।
মূল কথা হচ্ছে বোধ ও বিবেচনা দিয়ে যে কোন বিষয়ের কার্যকরণ সম্পর্ক খুজে পাওয়ার চেস্টা করলে ঈর্ষার কোন জায়গা মনের মধ্যে অাসতে পারে না
ঈর্ষানিত্ব ব্যক্তির যে দহন ও উৎকন্ঠা তাতে তাদেরই অন্তনীহিত শক্তি ক্রমাগতভাবে ক্ষয় হতে চলছে তাই তাদের উচিত হবে অপ-রাজনিতিতে শক্তি অপচয় না করে উক্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে শহীদ জিয়ার অাদর্শ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।