বান্দরবান প্রতিনিধি, ১২ জুন ২০১৮ ॥
বান্দরবানে নির্মাণের পর প্রথম বৃষ্টিতে ধসে পড়লো প্রতিরক্ষা দেয়াল। নির্মাণ কাজে ত্রুটি এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর অদক্ষতায় ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ৫ তলা ডরমেটরী ভবনও অভিযোগ স্থানীয়দের। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলা শহরের জজকোর্ট এলাকায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের নিজস্ব পাঁচতলা ডরমেটরী ভবন’সহ ভবনের সুরক্ষায় একটি প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। মেসার্স কিংমে লাইসেন্সে উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান রাশেদ চৌধুরী’সহ কয়েকজন ঠিকাদার। নির্মাণাধীন ডরমেটরী ভবনের নিরাপত্তায় নির্মিত প্রায় বিশফুট লম্বা প্রতিরক্ষা দেয়ালটি প্রথম বৃষ্টিতে মাটি ধসে হেলে পড়েছে। যে কোনো মুহুর্তে দেয়ালটি পাশ্ববর্তী রাস্তার উপরে সম্পূর্ন ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝুকি নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচল করছে লোকজনেরা। নির্মাণ কাজে ত্রুটি এবং প্রকৌশলীর অদক্ষতায় প্রতিরক্ষা দেয়ালটি ধসে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এদিকে প্রতিরক্ষা দেয়ালটি ধসে পড়ায় নির্মাণাধীন পাঁচ তলা ভবনটির নির্মাণ কাজের গুনগতমান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন বিশিষ্ট ঠিকাদার।
সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও নির্মাণ কাজের ঠিকাদার তৌহিদুর রহমান রাশেদ চৌধুরী বলেন, নির্মাণ কাজে কোনো ধরণের অনিয়ম এবং ত্রুটি ছিল না। মাটির চাপ নিতে না পারায় বৃষ্টিতে দেয়ালটি ধসে পড়েছে।
এ ব্যাপারে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান জানান, নির্মাণ কাজে ত্রুটির কারণে দেয়ালটি ধসে পড়েনি। মাটির চাপ নিতে না পারায় বৃষ্টিতে দেয়ালটি ধসে পড়েছে। দেয়াল’সহ ভবন নির্মাণের কাজটি এখনো চলমান। ধসে পড়া দেয়ালটি ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুনরায় একই স্থানে আরেকটি দেয়াল নির্মাণ করে দেয়া হবে। মেসার্স কিংমে লাইসেন্সে রাশেদ চৌধুরী’সহ কয়েকজন ঠিকাদার ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।