নুরুল আমিন হেলালী:
সদর উপজেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক উপশহরখ্যাত ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়কসহ আভ্যন্তরিন সড়ক -উপসড়কগুলি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলকাদায় একাকার হয়ে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ভারি বৃষ্টিতে বাজারের প্রতিটি সড়ক যেন কাদাজলের ভাগাড়। কক্সবাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর, কার্যকর ও টেকসই সড়ক সংস্কারে পরিকল্পিত পদক্ষেপ না থাকার কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ঈদগাঁওবাসীর। জৈষ্ঠের শেষদিকে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বর্ষার আগেই ঈদগাঁও বাজারে চরম ভোগান্তির সংকেত বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে বাজারের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ও উপসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই, ডিসি সড়কটি সংস্কারে দীর্ঘ সুত্রিতা, বৃষ্টি নিষ্কাশনের জন্য নামে মাত্র যে’কটি ড্রেন আছে সেগুলিও বর্জ্য- আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ।
অন্যদিকে প্রতাপশালী ভুমিখেকো জমিদাররা অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত মার্কেটগুলোর সামনের ফুটপাত দখল করে ঝুলন্ত দোকান করায় পথ চলতে বিপাকে পথচারীরা। ফলে বৃষ্টি হলেই দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী, সাধারণ ব্যবসায়ী, পথচারী, ভোক্তাসাধারণ থেকে শুরু করে বাজার সংশ্লিষ্ট সব শ্রেণীপেশার মানুষ। দেখা গেছে, বাজারের ডিসিরোড়, বাঁশঘাটা রোড়, তরকারী বাজার, মসজিদের পেছন রোড়, হাসপাতাল সড়ক, কালিবাড়ি রোড়সহ প্রতিটি জনগুরুত্বপুর্ণ এলাকার অলিগলিও চলাচলের পথ কাদাজলে টইটুম্বুর ।
ঈদগাঁও বাজারের কাপড়ের গলি, বাঁশঘাটারোড়, মসজিদের পিছনরোড়, ভুমি অফিস থেকে বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে বঙ্কিম বাজার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। এসব রাস্তায় জলকাদার ভেতর দিয়ে পা ফেলে ফেলে ব্যবসায়ী, পথচারী, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ মানুেষর কি নিদারুণ কষ্টের যাতায়াত। বিশেষ করে ভুমি অফিসের সামনে থেকে বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে বঙ্কিম বাজার পর্যন্ত, কালিবাড়ি রোড় থেকে বাঁশঘাটা ব্রীজ পর্যন্ত সড়কের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। মাষ্টার সোলতান আহমদ, মনছুর আলম, স্কুল-কলেজ পড়–য়া শহিদ, নাজমুল, নাহিদা, অনন্যা, ব্যবসায়ী ছৈয়দ করিম, আরিফ উল্লাহ, নাছির উদ্দিনসহ কয়েক চাকুরিজীবি বাজারের সড়কগুলোর দুর্দশা সম্পর্কে বলেন, বাজারের ডিসি সড়কটি সংস্কারে দীর্ঘসুত্রিতায় চলাচলে বিগত কয়েকমাস যাবৎ অচলাবস্থায় পড়ে আছে। অনেকেই বাজারের অভ্যন্তরীণ সড়কের অবস্থা মগের মুল্লূকের চেয়েও ভয়ানক বলে মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে আলমাছিয়া সড়কটিও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় অল্প বৃষ্টিতে খানা-খন্দেভরপুর সড়কটি কাদাজলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাজারের প্রতিটি অলিগলির সড়কের উভয় পাশে বেইজ লেভেল ৩-৫ ফুঁট উঁচুতে অপরিকল্পিত ভবন,শপিংমল,দোকানপাট নির্মানের ফলে মুলসড়কটি সামান্য বৃষ্টি হলেই নালায় পরিণত হচ্ছে।
আর টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মওসুমে অল্প বৃষ্টিতে জলকাদা, জলাবদ্ধতা, নালা-নর্দমার দুর্গন্ধ বাজারবাসীর’র যেন নিত্যসঙ্গী। তাই বাজার অভন্ত্যরীণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঈদগাঁওবাসী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।