জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে শহীদ মিনারে সাধারণ ছাত্রদের সংবর্ধনার জোয়ারে ভাসেন নুরুল আজিম রনি। বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় বৃহস্পতিবার (০৭ জুন) দুপুরে জামিন পান নুরুল আজিম রনি।

কারাগারের মূল ফটক থেকে কয়েক’শ নেতাকর্মী রনিকে নিয়ে মিছিল করে অদূরে আমানত শাহ’র মাজারে যান। সেখানে জিয়ারত শেষে রনিকে নিয়ে মিছিল করে নেতাকর্মীরা যান শহীদ মিনারে।

সেখানে বিভিন্ন কলেজ, ওয়ার্ড ও থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেউ পুষ্পস্তবক, কেউ ফুলে মালা দিয়ে রনিকে বরণ করে নেন।

রনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘যে মামলায় আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম- আদালতের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বলতে চাই, কোনো থাপ্পড়ের জবাবে কোনো চাঁদাবাজির মামলা হতে পারে না। সেদিন সেই একটি থাপ্পড় যদি আমি না দিতাম তাহলে ৯৬৯ জন পরীক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হতো না।

সেদিন তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে যে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছিল, সেই ফি-ও ফেরত দেওয়া হতো না।’
মেয়রের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যারা রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিজ্ঞান কলেজের জামায়াতি শিক্ষককে মামলার জন্য ইন্ধন দিয়েছেন, পুলিশকে বারবার করে ফোন দিয়েছেন আমার বিরুদ্ধে থাপ্পড়ের বিপরীতে যেন চাঁদাবাজির মামলা নেওয়া হয় – তাদের রাজনীতি হচ্ছে চট্টগ্রামের মানুষের অধিকার আদায়ের বিরুদ্ধে রাজনীতি। তারা বারবার চট্টগ্রামের মানুষের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছেন। তারা বন্দর লুট করেছেন, তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে লুটেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন।’

এসময় রনি চট্টগ্রামের ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিটি করপোরেশন বাড়তি টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন।

এ সময় কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিবুপ্রসাদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আবু সাদাত মো.সায়েম, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা গোলাম সামদানী জনি, ইয়াছিন আরাফাত কচি, মায়মুন উদ্দিন মামুনসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এ ছাড়াও নগর ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মী ও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।