ইমরান হোসেন মুন্না

সদ্য সুইসাইড করা মেয়েটি চিৎ হয়ে পড়ে আছে হিম ঘরের এক কোনায়। সুঠাম দেহ , মনে হয় একটু আগেও তাঁর রুপ যৌবনে ভরপুর ছিলো। কি এক রাগের মাথায় করে ফেললো সুইসাইড। বোধহয় মরার ঠিক ৩৩সেকেন্ড আগেও বাঁচার জন্য আকুল আবেদন করেছিলো ঈশ্বরের কাছে। কিন্তু ভাগ্য তুমি হায় রইলো না
পড়ে। কি বা এমন হয়েছিলো যৌবনে

ভরা টাসা রুপবতির সাথে, যার কারণে অকালে মরতে হলো। মেঝের এককোণায় প্লাস্টিক মুড়িয়ে ফেলে রেখেছে ডুম। কাটছে না তার পুরিয়ে যাওয়া যৌবনের রসের শরীরটি। বেওয়ারিশ না হওয়া পর্যন্ত। এবার ডুম এসেছে রুপবতীর লাশ কাটতে। হুকুম না পাওয়ার আগ পর্যন্ত হাত দিবে না রুপবতীর শরীরে। হুকুম হলো ডোমের লাশ চিরার। রুপবতীর

গায়ে একটি সুঁতোও নেই। নগ্ন দেহ পড়ে আছে রুপবতীর। ডোমের সামনে ঝুলে আছে রুপন্তির স্তন। কাটছে রুপন্তির শরীর। ডোম কি যেনো খুঁজছে রুপন্তির দেহের ভিতরে। পটাশ ফসফরাস দুলিয়ে আছে রুপন্তির দেহটি। মাঝখান থেকে দুভাগ করে ডাক্তার চলে গেলো পরীক্ষা করতে। আর ডোম তার মাইনের

একখানা খড়ি না ফেলেও সেলাই করবে না রুপন্তির দেহ। সেলাই করার সময় মনে হলো কি অদ্ভুত শব্দ। শুনতে পাচ্ছে ডোম, ইস আর একটু আস্তে হাত চালাও বড্ড ব্যথা গো ডোম মোর শরীরে। স্বজন আসবে নিতে রুপন্তি কে। নিতে ধর্মীয় রীতি মেনে তাকে সমাহিত করা হবে। ইস একুলও পাইলো না ঐ কুলও পাইলো না রুপন্তি