কক্সবাজার শহরের লাহারপাড়ার বিশিষ্ট ঠিকাদার, শহর আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক, ট্রাক-মিনিট্রাক ও পিকআপ চালক কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি, পরিবহন শ্রমিক নেতা, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবুল কালামের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রিয় বাসটার্মিনাল ট্রাক-মিনিট্রাক ও পিকআপ চালক কল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ (রেজিঃ নং-১৬৭২ কক্স) এর নেতৃবৃন্ধ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্ধ বলেন- গত ২৫ মে ‘আতঙ্কে বাস টার্মিনালের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা’ শিরোনামে কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের একাংশে আবুল কালামের নাম জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও মানহানিকর। সংবাদটির সাথে বাস্তবতার বিন্দুমাত্রও মিল নেই। আবুল কালাম জন্মসূত্রেই পশ্চিম লাহারপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জায়গা-জমি বিক্রি করে কিছু মুলধন নিয়ে ২০০৪ সাল থেকে সিলেটি পাথর ও বালি সাপলাইয়ের ব্যবসা শুরু করেন। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের অধিকাংশ ভবন তার সরবরাহ করা পাথর ও বালি দিয়ে নির্মিত হয়েছে। এরপর থেকেই তিনি ঠিকাদারী পেশায় স্থায়ী হন। পরবর্তীতে তিনি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এলজিইডি ও গণপূর্তের তালিকাভূক্ত একজন প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার। বর্তমানে মহেশখালীর কুতুবজোম হাই স্কুল, কাওয়ারখোপ হাই স্কুল, মহেশখালী কলেজ, কক্সবাজার মহিলা কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও পুনঃনির্মানের কাজ করছেন তিনি। বান্দরবানের লামা-আলিকদমেও তার কাজ চলছে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিও সংস্থা যেমন, ইউনিসেফ, আইআরসি, এফওএসসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রজেক্টের কাজও করছেন তিনি। রাত-দিন এসব কাজ করতে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাশাপাশি প্রতিবছর সরকারকে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয়করও দিয়ে থাকেন তিনি। একই সাথে তিনি রাজনীতি এবং সমাজসেবার সাথেও জড়িত। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, তিনি যে এলাকায় বসবাস করেন সেটি দিন দিন মাদক অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যে কারণে এলাকার কেউ একটু স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করলেই প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মাদক ব্যবসায়ী ‘তকমা’ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। এছাড়া সাংবাদিক এবং প্রশাসনের কাছেও মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও আপত্তিকর মন্তব্য করে অপপ্রচার করে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষ কতিপয় ঠিকাদার ব্যবসা-বাণিজ্যের সফলতায় ইর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করে। যা শুধুমাত্র তাকে ব্যবসায়িক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন এবং হয়রাণী করার জন্যই। যা দেখে আমরা রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়ি। এছাড়া প্রতিপক্ষ চক্রটি এখনো প্রশাসনকে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে হয়রানী করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় আমরা প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে চাই, এ পর্যন্ত মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। এমনকি কোন তালিকাতেও তার নাম থাকার কথা নয়। মাদকের সাথে তিনি কখনো জড়িত ছিলেন না, এখনও নেই। যদি কেউ তিনি মাদকের সাথে জড়িত এমন প্রমান হাজির করতে পারে, তাহলে তাঁর পক্ষে আমাদের অবস্থান থাকবে না। বরং আমরাই তাঁর শাস্তির দাবী জানাবো। অন্যথায় নিরীহ কোন ব্যক্তি অযথা হয়রানীর শিকার হলে তাঁর দায় নিতে হবে সবাইকে। যার কারণে যাচাই-বাছাই করে সতর্কতার সাথে সংবাদ পরিবেশন ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সাংবাদিক ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিবৃতিদাতাগণ

কেন্দ্রিয় বাসটার্মিনাল ট্রাক-মিনিট্রাক ও পিকআপ চালক কল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ (রেজিঃ নং-১৬৭২ কক্স) এর সহ-সভাপতি মো. জাকের হোসেন, সম্পাদক মো. আবদুর রহিম, সদস্য যথাক্রমে মো. আকতার, মো. আবু শামা, নুর আহম্মদ, মিন্টু বড়–য়া, কবির আহমদ লিটন, মো. সোহেল, মো. নুরুল ইসলাম, আলী আহমদ, মো. ইউসুফ প্রমুখ।