আখতার-উল্-আলম
তুরস্কের অ্যাম্বাসেডর সাহেব আমাদের দূতাবাসে এসেছেন। বয়স্ক কূটনীতিক। অভিজ্ঞ এবং ঝানু। ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে ওআইসির একটা সম্মেলনে তুরস্ক সফরের সৌভাগ্য হয়েছিল আমার । আমি তখন দৈনিক ইত্তেফাকে। সে সময় এই ভদ্রলোকের সাথে কিছুটা পরিচয়। বাহরাইনে এসে তাকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেয়ে সেই পূর্ব পরিচয়টা যেন নতুন করে পেলেই তিনি আমাদের বাসায় বা দূতাবাসে আসতেন। আমিও সময় পেলে তাঁর ওখানে গিয়ে আড্ডা দিতাম। আমার স্ত্রীও সময় পেলে তার বাসায় যেত। তার স্ত্রীও সময়ে অসমেয় আমাদের বাসায় এসে আমার স্ত্রীর ও মেয়ের সাথে সময় কাটাতেন। নাতিকে নিয়ে খেলতেন।
সেদিন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মনে হলো হাতে সময় নিয়েই এসেছেন। নানা বিষয় নিয়ে চলছিল আলাপ আলোচনা। বাংলাদেশের কিছু কিছু পোষ্টার তার সামনে। একখানা পুস্তকে শহীদ জিয়ার ছবিখানাই দেখছিলেন। এক সময়ে হঠাৎ করে বলে উঠলেন, এক্সেলেন্সি, যদি কিছু মনে না করেন, একটা আরজ জানাতে চাই। …. আপনি কি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একখানা পোর্ট্টেট আমাকে দিতে পারেন?
আমি যাথাসমেয় তাঁকে ওই পোর্ট্টেট দেব, কথা দিলাম। সে সময়ে অ্যাম্বেসিতে দু’জন ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন। মোহাম্মদ শরিফুল আলম আর জমির উদ্দিন আহমাদ। খুব সম্ভব জমির সাহেবই রাষ্ট্রদূত সাহেবের কাছে জানতে চাইলেন, এক্সেলেন্সি, আপনি কি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে চিনতেন?
তুরস্কের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের মুখে যেন ফুটে উঠল একটা বেদনার ভাব। বললেন, আমার জীবনের সে এক দুর্লভ স্মৃতি, বলতে পারেন আনন্দঘন অভিজ্ঞতা। আপনারা যে জিয়াউর রহমানকে চেনেন ও জানেন- আমার চেনাজানার জিয়াউর রহমান তার তা থেকে ভিন্ন, একেবারেই আলাদা। শুধু আপনার নয়, এটা তুরস্কের এবং গোটা মুসলিম উম্মহরও দুর্ভাগ্য যে, আমরা তাকে পেয়েছিলাম বেশিদিনের জন্য নয়। আমরা তাঁকে হারিয়ে কি যে হারিয়েছি, সেকথা বলে শেষ করতে পারব না। কেননা, তিনি এখনো ওআইসির নানা কর্মকান্ডের, ওআইসিতে তুরস্কের যোগদানের নেপথ্য নায়ক হিসেবে বিরাজ করছেন। অনেকেই জানেন না। কিন্তু বিষয়টির সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত বলেই তার হারিয়ে যাওয়াকে আমি নিজের ক্ষতি বলে মনে করি। বেদনা বিধুর কণ্ঠে কথাগুলো শেষ করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত। তাঁর দু’চোখ অশ্রুভরা।
গোটা বৈঠকের আবহাওয়া থমথমে। ফার্স্ট সেক্রেটারী মোহাম্মদ শরফুল আলম এক সময়ে নীরবতা ভাঙলেন। বললেন, এক্সেলেন্সি, কিছু যদি মনে না করেন, ঘটনাটা যদি আমাদের মেহেরবানী করে জানান, আমরা কৃতার্থ হবো।
একটুখানি দম ধরে থেকে তুরস্কের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ধীরে ধীরে আমাদের সামনে তুল ধরলেন এক অকথিত কাহিনী। অন্য এক জিয়াউর রহমানের চিত্র।
আমি তখন তুরস্কোর ফরেন মিনিস্ট্রির হেড অফিসে ডারেক্টর জেনারেল। কি এক কাজে অরো দু’সঙ্গীসহ বাংলাদেশে সফরে গেছি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাথে দেখা করার সুযোগ হলো। কথায় কথায় তুরস্কের কথা, কামাল আতাতুর্কের কথা উঠল। আমি আবার ব্যক্তিগতভাবে কামাল আতাতুর্কের ভক্ত। রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের কথা শুনে অবাক হলাম, বাংলাদেশ যাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছে, বাংলাদেশের সেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কামাল আতাতুর্কের উপরে উদ্দীপনামূলক কবিতা লিখেছেন। কামাল আতাতুর্কের বিজয় সে সময়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে কি দারুণ সাড়া জাগিয়েছিলো, সে কথারও উল্লেখ করলেন রাষ্ট্রপতি। মনে পড়ছে, সেদিন তিনি কামাল পাশার উপরে আপনাদের জাতীয় কবির লেখা একটি কবিতার দু’এক লাইন আমাদের শুনিয়েও দিয়েছিলেন- ওইখানে রয়েছে… লেফট রাইট লেফট।
আমরা অবশ্য বুঝে নিয়েছিলাম যে, মান্যবর রাষ্ট্রদূত কাজী কবির রচিত কামাল পাশা কবিতার সেই লাইন কয়টির কথাই বলছেন। যেখানে রয়েছে:
ওই ক্ষেপেছে পাগলী মায়ের
দামাল ছেলে কামাল ভাই,
অসুরপুরে শোর উঠেছে
জোরসে সামাল সামাল তাই।
কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই!
হোহো কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই!
লেফট রাইট লেফট রাইট লেফট!
মান্যবর রাষ্টদূত আমার দিকে তাকিয়েছিলেন। বললেন, এর আগে মিজানুর রহমান অনূদিত আপনার জাতীয় কবির যে তরজমা পুস্তকের ফটোকপি আপনি আমাকে দিয়েছিলেন, তাতে ওই কবিতাটি নেই। আপনি কি পারবেন, পুরো কবিতার ইংরেজি অনুবাদ আমাকে দিতে?
বললাম, এক্সেলেন্সি, আমি কথা দিতে পারছি না, তবে চেষ্টা করব।
হ্যাঁ, যা বলছিলাম, মান্যবর রাষ্ট্রদূত আবারও তাঁর কথার খেই ধরে বললেন, আমি তখন ভাবছিলাম অন্য কথা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মুখে তুরস্কো জাতীয় বীর কামাল আতাতুর্কের উপরে লেখা কবিতার চরণ আমি ভাবছিলাম, একজন রাষ্ট্রপতি যিনি মূলত সামরিক বাহিনীর লোক, অর্থাৎ তিনি সাহিত্য ইতিহাসের এতসব খবর রাখেন! যা হোক কথার ফাঁকে রাষ্ট্রপতিকে জানালাম, আমি এই অধম কামাল পাশার ভক্ত। বলতে পারেন, তার জীবিত অনুরক্তদের একজন।
রাষ্ট্রপতি বললেন, আইসি!
এরপর আমাদের আলোচনা বৈঠকের মধ্যে তিনি তাঁর সহকারী দু’এজনের সাথে কথা শেষ করে নিলেন। দু’একজায়গায় খোঁজ করলেন। রাষ্ট্রপতি আমাদের বিদায় জানাতে গিয়ে বলে উঠলেন, জেন্টলম্যান, আপনাদের জন্য একটা সারপ্রাইজের ব্যবস্থা করেছি। আগামী পরশু সকালে আপনারা এক জায়গায় যাবেন। হেলিকপ্টারে। আমার লোক যথাসময়ে আপনাদের হোটেল থেকে নিয়ে আসবে।
আমরা তো অবাক। শিডিউলের বাইরে হঠাৎ করে এরকম প্রোগ্রাম, তাও আবার স্বয়ং রাষ্ট্রপতি নিজে উদ্যোগী হয়ে প্রোগ্রাম সেট করলেন, এই আমাদের বৈঠক চলাকালেই, ব্যাপারটা কি?
একদিন পর আমদের জন্য যে বিস্ময় অপেক্ষা করছিল, আমরা কেউ-ই বিশেষত আমি নিজেকে তার জন্য আদৌ প্রস্তুত ছিলাম না। ঢাকা থেকে বেশ দূরে নোয়াখালীর দাগনভুঁইয়া, সেখানেই আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো। দেখলাম এক স্কুল এবং বিস্ময়ের ওপর বিস্ময়-স্কুলের নাম কামাল আতাতুর্ক হাইস্কুল। আমি কামাল পাশার ভক্ত, অনুরক্ত। স্কুল প্রাঙ্গণে নেমে আমার দু’চোখ অশ্রুতে পূর্ণ হয়ে উঠল কোথায় তুরস্ক আর কোথায় বাংলাদেশ। অথচ তুরস্কের সেই জাতীয় বীর কামাল আতাতুর্কের নামে বাংলাদশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেই কবে গড়ে উঠেছে একটি বিদ্যাপীঠ। তুরস্কের কামাল পাশা সেদিন বাংলাদশের মানুষের মধ্যে কিদারুণ ভাবাবেগের সৃষ্টি করেছিলেন, রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে তার কিছুটা আভাস পেয়েছিলাম। সেই ভাবাবেগেরই যেন জীবন্ত এক স্বাক্ষী এই স্কুলটি।
মনে মনে শত সহস্যবার ধন্যবাদ জানালাম রাষ্ট্রপতি জিয়াকে। তিনি যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে এমন একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করলেন, যে বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করার কোন গরজ আমি কখনো অনুভব করি নাই। মনে পড়ল, রাষ্টপতি জিয়া কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তুরস্ক সেক্যুলার ষ্টেট, ঠিক আছে। সব মুসলিম রাষ্ট্র্রই একার্থে সেক্যুলার। বাংলাদেশও। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানেরা সে যুগে কামাল পাশাকে মুসলমানদের জাতীয় বীর হিসেবেই দেখেছে। তাঁর বিজয়কে নিজেদের বিজয় হিসেবে গ্রহণ করেছে। তাঁর তেজ বীর্য, তার শৌর্য-সাহস, সে সময়ের গোটাবিশ্বের মুসলিম যুবকদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে নবতর উৎসাহ উদ্দীপনা। সেকারণে। আমি মনে করি, তুরস্ক তার জাতীয় সেক্যুলার নীতি বজায় রেখেই ওআইসি-তে যোগদান করতে পারে।
আরো মনে পড়ল, রাষ্ট্রপতি জিয়া কথা কয়টি বলেছিলেন আমার দিকে দৃষ্টি রেখেই। তিনি যেন জেনে ফেলেছেন যে, তুরস্ক ওআইসিতে যোগদান করবে কি করবে না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একটি ফাইল আমার অফিসে জমা আছে। আমি সিদ্ধান্ত দিলেই কাজটি হতে পারে।
অর্থাৎ আমার সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করছে তুরস্ক ওআইসির মেম্বার হবে কি হবে না।
দাগনভুঁইয়ার কামাল আতাতুর্ক হাইস্কুল পরিদর্শনের সময়ই আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, তুরস্ক ওআইসিতে যোগ দেবে। কেন দেবে না? কোথায় তুরস্কর আর কোথায় বাংলাদেশ? সরকার এসেছ, সরকার গেছে। কিন্তু মুসলিম দেশগুলোর মানুষেরা হৃদয়ে হৃদয়ে যে ধর্মীয় ভাবাবেগ পোষণ করে চলেছে- তার যে অব্যাহত ধারা তার তো কোন শেষ নেই। তা না হলে, আজ যেখানে খোদ তুরস্কে মোস্তফা কামাল পাশার নামে নুতন কিছু খুব কমই গড়ে ওঠে, সেখানে আজো মোস্তফা কামাল পাশার নামে বাংলাদেশের এক রাষ্ট্রপতি ভাবাবেগে আপ্লুত হন; তার উপরে রচিত কবিতার লাইন আউড়ে যান। তাঁকে মনে করেন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম জাতীয় বীর নায়ক হিসেবে।
এদিকে সেই কবে বাংলাদেশের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোস্তফা কামাল পাশার নামে গড়ে উঠেছে যে বিদ্যালয়টি-বৃটিশ যুগ গেছে, পাকিস্তান যুগ গেছে, এসেছে বাংলাদেশ আমল- মোস্তফা কামাল পাশার নামে প্রতিষ্ঠিত সেই স্কুলটি আজো রয়ে গেছে। যুগ তো শেষ। কিন্তু আমরাতো আছি। আর আছেন রাষ্ট্রপতি জিয়ার মতো নেতা। তিনি ঠিকই ধরেছেন, মানুষের ভাবাবেগের কোন ক্ষয় নেই- লয় নেই। আবারও মনে হলো, সেই পাকিস্তান আমলে, যখন এই অঞ্চলে গুড়ে উঠেছিল আরসিডি- তখনো আমি একবার পাকিস্তানের এই অঞ্চলে এসেছিলাম। তখন পাকিস্তান তো আরসিডি’র নাম হরদম জিকির করত। অথচ সেদিন কোন কর্মকর্তা আমাকে বলেননি, এদেশের মুসলমানদের উপরে কামাল পাশা হাইস্কুলের কথা।
ফাঁক পেয়ে আমি বললাম, এক্সেলেন্সি, কামাল পাশার ওপরে আমাদের জাতীয় কবি শুধু কবিতাই লেখেননি, আরো অনেক কবি-সাহিত্যিক তাঁকে নিয়ে অনেক গল্প কবিতা কাহিনী ইতিহাস লিখেছেন। জাতীয় কবির একটি অনুবাদ রচনার নাম তুর্কি নারীর ঘোমটা খোলা। কামাল পাশার সহযোগী বীর মহিলা খলেদা এদিব হানুমের ফায়ারী শার্ট -এর তরজমা করেছন মোহাম্মদ ওয়জেদ আলী নামে এক খ্যাতনামা সাহিত্যিক- সাংবাদিক।
দূতাবেসের সেক্রেটারিদের একজন বললেন, শুধু কামাল পাশা নয়, আনোয়ার পাশার নামেও কাজী নজরুল ইসলাম কবিতা লিখেছেন। কামাল পাশা ও আনোয়ার পাশার নামে দুটি নাটক লিখেছেন প্রিন্সিপাল ইবরাহিম খাঁ। আনোয়ার পাশার একটি কবিতার কয়েকটি লাইন এরকম:
আনোয়ার! আনোয়ার!
… দুনিয়াতে মুসলিম আজো পোষা জানোয়ার।
বেঈমান মোরা নাই জান আধখানও আর।
কোথা খোঁজো মুসলিম? শুধু বুনো জানোয়ার
আনোয়ার! আনোয়ার!
যে বলে সে মুসলিম জিভ ধরে টানো তার!
বেঈমান জানে শুধু জানটা বাঁচানো সার।
আনোয়ার! ধিক্কার!
কাঁধে ঝুলি ভিক্ষার-
তলওয়ারে শুরু যার স্বাধীনতার শিক্ষার।
যারা ছিল দুর্দম তারা আজো দিকদার।
আনোয়ার ধিক্কার!
ফার্স্ট সেক্রেটারি জমির সাহেব কবিতার লাইনগুলোর যথাসম্ভব ইংরেজি তরজমা করে শোনালেন মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে। রাষ্টদুত মাথা তুলে আমারদিকে তাকালেন। বললেন, একসেলেন্সি, আপনিতো তুরস্ক সফরে দেখে এসেছেন, সেখানকার রাজধানীর অন্যতম বৃহত্তম এ্যাভেন্যূর নামকরণ করা হয়েছে জিয়াউর রহমান এ্যাভেন্যু। শরফুল সাহেব বললেন, একসেলেন্সি, ঢাকার অন্যতম বৃহত্তম এ্যাভেন্যুর নামকরণ করা হয়েছে কামাল আতাতুর্ক এ্যাভেন্যু”।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত বললেন, সে জন্যই বলছিলাম, মুসলিম বিশ্বের ভাবাবেগে সর্বত্রই এক এবং অভিন্ন। রাষ্ট্রনায়কেরা মাঝে মাঝে ভুল করেন, আবার জিয়াউর রহমানের মতো রাষ্ট্রনায়কেরা এসে সেই বুল শোধরান। শুধু নিজের রাষ্ট্রকে নয়, আরো অনেক সহযোগী রাষ্ট্রকে সঠিক ট্রাকে তুলে সামনে এগিয়ে চলার পথ সুগম করে দেন। আমি তুরস্কের ওআইসিতে যোগাদানের কথাই বলছি।
সেদিন আমাদের বৈঠক ওখানেই শেষ হয়েছিল।
মনে পড়ছে, জিয়াউর মরহমানের ছবি আমি মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে দিতে পেরেছিলাম, কিন্তু ওই দুই কবিতার কোন তরজমা দিতে পারিনি। কারণ দূতাবাসে তা ছিলনা; অনেক চেষ্টা করেও ঢাকা থেকে তা যোগাড় করা সম্ভব হয়নি। আরো মনে পড়েছে, বিদায় নেবার সময় মান্যবর রাষ্ট্রদূত হ্যান্ডশেক শেষে বলেছিলেন, এক্সেলেন্সি, কামাল পাশা থেকে জিয়াউর রহমান-এর এখনকার বেগম খালেদা জিয়া- তুরস্ক এবং বাংলাদেশের মৈত্রী চির অটুট থাকবে। লং লিভ বাংলাদেশ। লং লিভ জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ! জিন্দাবাদ জিয়াউর রহমান।
লেখক: প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও রাষ্ট্রদূত