সিবিএন ডেস্ক:

নেত্রকোনা জেলা থেকে  টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। তারা হলো- হ্নীলা  মন্ডল পাড়ার মৌলভী দীল মোহাম্মদের বড় ছেলে ইসমাঈল এবং ওসমান।  পরিবারের লোকজন ছবি দেখে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। তারা দুইজনই ইয়াবা কারবারে জড়িত বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফের স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত  ইসমাঈল এবং ওসমান দীর্ঘদিন ঢাকায় রয়েছে। টেকনাফের সিন্ডিকেটের বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠানো ইয়াবা তারা ঢাকা ও আশেপালেশ এলাকায় বিক্রি করতো।

তবে নিহতদের পরিবারের লোকজন দাবি করেছে, তারা ঢাকায় চাকরি করছে বলে পরিবারকে জানিয়েছিলো। তারা যে ইয়াবা ব্যবসা করে এটা পরিবার কোনোভাবেই জানতো না।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, নিহত দুই জনই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বয়স ৩০/৩২ বছর। তাদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে মৃত ব্যক্তিদের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত কাগজপত্র দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বাড়ী কক্সবাজার জেলায়। নিহতদের ছবি কক্সবাজার জেলা পুলিশকে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযানে অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার  গভীর রাতে নেত্রকোনায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাতপরিচয় ওই দুই ব্যক্তি নিহত হয়।

নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান, নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মনাং ইট খলার পাশের বাগানে গভীর রাতে মাদক বেচা কেনা হতে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মডেল থানার পুলিশ রাত দুটার দিকে সেখানে পৌঁছলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় আত্ম-রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত এবং তিন পুলিশ আহত হন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি পাইপ গান, ৭শ ৫ গ্রাম হেরোইন, ৩ হাজার ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল শুক্রবার  রাত সাড়ে ১০টায় জানান, নেত্রকোনা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কাগপত্র বা ছবি তাদের কাছে আসেনি। আর নিহতের ব্যাপারেও কোনোভাবে অবগত হয়নি।