শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর :
কক্সবাজার সদর মডেল থানার আওতাধীন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এক এএসআই’র অসৌজন্য, কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। যার ফলে পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তার এমন আচরণের শিকার হয়েছে প্রভাবশালী দুই জনপ্রতিনিধি। যদিও বা তাদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যায়। বাদ পড়ছে না সাধারণ বিচারপ্রার্থী থেকে শুরু করে গনমাধ্যমকর্মীরা।
অভিযোগ উঠেছে , এএসআই জামাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যোগদানের পর থেকে বিভিন দাগী অপরাধী,দালাল চক্র, জামায়াত শিবির, বিএনপির জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের আসামিদের সাথে দহরম মহরম সংখ্যতা গড়ে তোলে। নিজেকে রেলমন্ত্রীর আত্বীয় পরিচয় দিয়ে আটক বানিজ্য থেকে শুরু করে ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিদের কাছ থেকে গোপনে মাসোহারা নিয়ে অবাধে চলাফেরার সুযোগ করে দেন।তার এমন কর্মকান্ডে পুরো পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ঈদগাঁও দক্ষিন মাইজ পাড়া এলাকার তাসিফ নামের এক ভুক্তভোগি জানায়,তার জমির বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষরা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করতে গিয়ে উক্ত জামাল গাড়ী ভাড়ার নামে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন।একই ভাবে জালালাবাদের নবী হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত থেকে সাক্ষী সমন হলে সমনটি নিয়ে তার বাড়িতে যায়। এ সময় তিনি অনুরূপ গাড়ী ভাড়া চাইলে নবী হোসেন দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সাক্ষী দিতে না গেলে ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে বলে জানায়।
সর্বশেষ ২৫ মে ঈদগাঁওয়ের কর্মরত এক সংবাদকর্মীর সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ করে।পরে পরিচয় পেয়ে ক্ষমা চাইতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দেয়। স্থানীয়রা এ দুর্নীতিপরায়ন ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার অপসারন দাবী করে উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখিত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে এসব কথা কে বলছে বলে উল্টো প্রশ্ন করেন তিনি।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া জানান,বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।