ভোটাররা উজ্জীবিত হয়ে হাসিমুখে বরণ করে নিচ্ছেন তাদের আগামী দিনের হবু সেবককে
মো: আকতার হোছাইন কুতুবী ॥
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর উক্তিতে বলেছেন, “আমি বর্ণবাদকে ঘৃণা করি, কারণ এটা একটা বর্বর বিষয়, তা সে কালো বা সাদা যে কোন মানুষের কাছ থেকে আসুক না কেন।” যখন একজন মানুষ বিবেচনা করা যে নিজ জাতি এবং স্বদেশের প্রতি সে তার দায়িত্ব পালন করছে তখন সে শান্তিতে মৃত্যুবরণ করতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে নারী-পুরুষ এখন সবক্ষেত্রেই নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারছে। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি এই সমাজে অবদান রেখে চলছেন। এমনি একজন নিঃস্বার্থ ন্যায়পরায়ণ টকবগে যুবক কক্সবাজার শহরের যুব সমাজের আইকন খ্যাত মিজানুল করিম। মিজানের হাতে গড়া অনেক সংগঠন শহরে অসহায় মানুষদের জন্য বড় প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি ছাত্রজীবন থেকে হাঁটিহাটি পা পা করে তার সংগঠনের কার্যক্রম যেমন বিস্তৃতি করেছেনÑতেমনি নিজ থেকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন অসহায় জনগণের জন্য। তার ওয়ার্ডের জনগণকে বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন দেখাতে পারছেন।
জানা গেছে, জনপ্রিয় যুবনেতা মিজানুল করিম অক্লান্ত পরিশ্রম আর মানবসেবার ব্রত নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। পরোপকার ও মানবসেবা যেন মিজানুল করিমের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। তার বাবাও কক্সবাজার পৌরসভার জনপ্রিয় কমিশনার ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি মানবসেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। সকল প্রচারণার আঁড়ালে থেকে বটবৃক্ষের মতোই নিশ্চুপ ছাঁয়া দিয়ে যান কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র মানুষদের। গরিব, দুঃখী, অসহায় ও নির্যাতিত জনগণের পাশে থেকে সেবা করায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন প্রতিবাদী যুবনেতা মিজানুল করিম। তিনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মকা-ের মাধ্যমে অবহেলিত নারী-পুরুষের সচেতনতা ও স্বাবলম্বী করার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, যৌতুক, নারী নির্যাতন ও অমানবিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছেন।
জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রমজানের পরেই এই পৌরসভার নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিব জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশও দিয়েছে ইতোমধ্যে। এই ঘোষণার পর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সমর্থন লাভের প্রত্যাশায় শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন পাড়া-মহল্লায়। মাঝেমাঝে সভা-সমাবেশও করছেন অনেকে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতিও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের আগাম নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও জনহিতকর কাজ শুরু করে দিয়েছেন কক্সবাজার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী যুবনেতা মিজানুল করিম মিজান। তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সমর্থন চাচ্ছেন। পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগসহ নানা কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরো জানা যায়,
২০ মে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে পুরো ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শুরু করেন পরিচ্ছন্নতা অভিযান। সে অভিযানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন মিজান। পুরো ওয়ার্ডকে স্বাস্থ্যসম্মত ও স্বাস্থ্যকর এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা তার অভিপ্রায়। ১৯ মে বৃহত্তর টেকপাড়া সমাজ কমিটির উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে এলাকায় জনহিতকর কর্মকা- নিঃস্বার্থভাবে চালিয়ে যাবার জন্য তাকেও সংবর্ধিত করা হয়। সে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি মিজানুল করিম এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি খুব বেশি আনন্দিত উক্ত অনুষ্ঠানে শরীক হতে পেরে। আমি ধন্যবাদ জানাই সমাজ কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদকে যারা টেকপাড়ায় এই রকম নতুন নতুন মহতী কর্মকা- শুরু করেছেন। এই উদ্যোগ বাঁচাতে পারে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। দেখাতে পারে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন আগামী। তিনি আরো বলেন, আমার এখনো মনে হচ্ছে এই ক’দিনের ছুটাছুটিতে যদি এমন সুন্দর সম্মাননা হয়, তবে ওয়াদা করলাম সারাজীবন আপনাদের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। শুধু আপনাদের কাছে আমার চাওয়া উন্নয়ন ও শৃঙ্খলিত মডেল ৪নং ওয়ার্ড উপহার দেয়ার জন্য ভালবাসা আর সমর্থন। এই ওয়ার্ডের প্রাণপ্রিয় মানুষের জন্য আমার ভালবাসা কখনো কমতি ছিল না, হবেও না। তারুণ্যে উজ্জীবিত প্রদীপ মিজান আরো বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আপনাদের সমর্থন আমাকে নিয়ে যাবে অনেক দূর ইনশাআল্লাহ। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ। পরিবর্তন চাই, পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ। নির্বাচিত না হওয়ার আগেই মা-মাতৃকার টানে নিজের জীবনকে ছাত্রজীবন থেকে উৎসর্গ করে আসছেন মিজান। সম্প্রতি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন-যেখানে আবর্জনা দেখা মিলবে সেখানেই আমি হাজির হবো জনবল নিয়ে। সরেজমিনে ৪নং ওয়ার্ডের নারী-পুরুষ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যুবনেতা মিজান তাদের সেবক হিসেবে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় তারা অনেক বেশি আনন্দিত
। কারণ তার বাবার মতো তারও জনগণের প্রতি যে দরদ ভালোবাসা রয়েছে তা প্রশংসনীয়। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি পৌর নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনে মিজানকে জয়যুক্ত করার জন্য উজাড় করে সবকিছু বিলিয়ে দেবে অনায়াসে। কারণ যে নেতা নিজের সুখ-দুঃখকে জলাঞ্জলি দিয়ে মানুষের বিপদে-আপদে ছুটে যায়, এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য নির্জ অর্থায়নে জনবল নিয়ে সেবা প্রদান করেন। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার মতো নেতাই অবহেলিত ৪নং ওয়ার্ডের জনগণের প্রয়োজন।
কক্সবাজার পৌর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী যুবনেতা মিজানের আগাম কর্মতৎপরতা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে