বিশেষ প্রতিবেদক:

মাদকের বিস্তার এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, এখন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কোনো বিকল্প নেই। শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে মাদক। তার বিষাক্ত ছোবল শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও অমিত সম্ভাবনা। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের অবক্ষয়, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা, হতাশা এবং মূল্যবোধের অভাবের সুযোগ নিয়ে মাদক তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তরুণ সমাজের প্রতি। বেকারত্বও মাদকের বিস্তারে সহায়ক-এমন কথাও বলছেন বিশ্লেষকরা। এই মরণ নেশার বিস্তারে সমাজে একদিকে যেমন অপরাধ বাড়ছে, তেমনিভাবে নষ্ট হচ্ছে সামাজিক শৃঙ্খলা। এই অবস্থা চলতে থাকলে একটি সমাজের অন্ধকারের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না। মাদকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ‘জিরো ট্র্রলারেন্স’নীতি গ্র্রহণ করেছে সরকার।। এরই অংশ হিসাবে সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছে সরকার। প্রশাসনও মাদকের বিরুদ্ধে এবার নড়েচড়ে বসেছে। গত কয়েক দিনে এক হাজারেরও বেশি মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক মামলা হয়েছে। মাদক বিক্রেতাদের ধরতে গিয়ে বন্দুকযুদ্ধের মুখেও পড়তে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে।

এদিকে মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের যুব সমাজকে মাদকের করালগ্রাস থেকে রক্ষা করতে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল। গত কয়েকদিন তার ফেইজবুক পেইজে মাদকের বিরুদ্ধে দেওয়া কযেকটি স্ট্যাটাস ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে তার এই জোরালো ভুমিকা কক্সবাজারের সুধী মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

তার স্ট্যাটাসগুলি হবহু নিচে তুলে ধরা হল,” মাদক মুক্ত সমাজ হোক কক্সবাজার যুবলীগের অঙ্গীকার”.. ”মাদক মুক্ত যুবসমাজ গঠনের প্র্রত্যয় নিয়ে কক্সবাজার জেলা যুবলীগে শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি, সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সফলতা দান করেন।” তার মাদক বিরোধী এইসব স্ট্যাটাস যুবসমাজের মাঝে আলোর সঞ্চার করেছে বলে মনে করেন যুবলীগের সর্বস্থরের নেতা কর্মীরা। তাদের আশা আগামীদিনে শহিদুল হক সোহেলের নেতৃত্বে মাদক মুক্ত যুব সমাজ গঠনে অগ্রনীভুমিকা পালন করবে কক্সবাজার জেলা যুবলীগ।।