
গাজায় ইসরায়েলবিরোধী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শতাধিক প্রাণহানির পর সেখানে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে একটি টিম পাঠানোর প্রস্তাবে ভোটাভুটি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা।
তবে জাতিসংঘের এসব কর্মকাণ্ডকে স্রেফ পিআর ও প্রচারণার কৌশল বলে আখ্যায়িত করেছেন ব্রিটেনে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ম্যানুয়েল হাসাসিয়ান। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাসাসিয়ান বলছেন, জাতিসংঘ যদি যুদ্ধাপরাধ তদন্তে একটি টিম পাঠায়ও তবে তাদের গতিবিধি ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ করবে, কারণ সীমান্ত তাদের হাতে।
‘যেসব জায়গায় চূড়ান্ত নির্যাতন হয়েছে সেসব জায়গায় তদন্ত দলকে ঢুকতে দেয়া হবে না। আমি আসলেই হতাশ। আমি এখন পশ্চিম তীরে আছি আর আমি এখানে যা দেখছি তা সম্পূর্ণ জাতিবিদ্বেষ। আর গাজায় ২০ লাখ মানুষ অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।’
হাসাসিয়ান আরও অভিযোগ করেন, ইসরায়েল আর যুক্তরাষ্ট্রকে দেখে মনে হয় তারা আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে। কিন্তু আরব বিশ্বে যখন কোনো আইনের লঙ্ঘন নয় সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়। আপনারা যদি এমন গণতন্ত্র চেয়ে থাকেন তবে আমাদের আইনের ভূমিকা শেখানো বন্ধ করুন।
গাজায় প্রতিরোধে এ পর্যন্ত শতাধিক নিহত হয়েছেন। কেবল সোমবারই নিহত হয়েছেন ৬০ জন। ওইদিনই তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হয় এবং সে দিনটাই ছিল নাকবার ৭০তম বার্ষিকী; যেদিন লাখো ফিলিস্তিনিকে তাদের নিজেদের ভূমি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
তবে জাতিসংঘের এই ভোটাভুটিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীরা।
তবে জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে তারা বলছে, এর মধ্যে দিয়ে জাতিসংঘ আবারও প্রমাণ করল তারা আসলে একটা ইসরায়েলবিরোধী সংস্থা।
আরব নিউজ।