এম.মনছুর আলম ,চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আবাসিক হোটেল থেকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ায় ওমান প্রবাসীর স্ত্রীসহ ২প্রেমিক জুটি আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ মালুমঘাট ষ্টেশনের মুজিব বোডিং নামের আবাসিক হোটেল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নেতৃত্বে স্থানীয় জনতার সহায়তায় ওই প্রেমিক জুটিকে হাতে-নাতে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়।সংবাদ পেয়ে থানার ওসি’র নির্দেশে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) আবদুল খালেক ঘটনাস্থলে পৌছলে চেয়ারম্যান আটক প্রেমিক জুটিদের সোপর্দ করেন।ধৃত আটক জুটিরা হলেন,উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের তৈইল্যা কাটা (রসুলাবাদ) এলাকার ওমান প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রুমা আক্তার(২৫),একই এলাকার আহমদ হোসেনের পুত্র রুহুল আমিন(৩০),চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার নুরুল ইসলামের কন্যা আয়না(১৫),একই উপজেলার আমিরাবাদ চৌধুরী পাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ ইউনুছ(২৩)।
সূত্রে জানাগেছে,আটক জুটি বরইতলী তৈইল্যা কাটা এলাকার আহমদ হোসেনের পুত্র রুহুল আমিন ও ওমান প্রবাসীর স্ত্রী দু’সন্তানের জননী রুমা আক্তার স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোক চক্ষুর আড়ালে চুটিয়ে পরকিয়া আসক্ত হয়ে প্রেম করে আসছিল।প্রেমিক রুহুল আমিন স্থানীয় ভাবে মুদির দোকানদার। সাম্প্রতিক সময়ে তার পরিবারের লোকজন অন্যজনের স্ত্রীর সাথে অবৈধ মেলামেশা ও নানা অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে বিবাহ করায়। প্রেমিকা রুমাকে লোভে ফাঁদে অাটকিয়ে প্রেমিক মুদি দোকানদার রুহুল আমিন অবাধ মেলামেশা শুরু করে।এনিয়ে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার রুহুল আমিনকে রুমার বাড়ি থেকে কয়েকদফা আটক করে সালিশী বৈঠক হয়।লম্পট রুহুল আমিন প্রবাসীর স্ত্রী রুমার সাথে অনৈতিক কাজে অবস্থায় পুলিশের হাতে আটকের বিষয়টি সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফুসে উঠে তৈইল্যা কাটা এলাকার আপামর জনতা।সর্বত্রে সুষ্ঠু বিচারের দাবী উঠে বিবাহিত রুহুল আমিনের এ অনৈতিক কর্মকান্ডের।ফলে বাড়তে থাকে এলাকা জুড়ে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা।এদিকে রুহুল আমিন ও তার প্রেমিকা প্রবাসীর স্ত্রী রুমাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে লাখ টাকার মিশন নিয়ে নেমেছে রুহুল আমিনের পরিবার।তাদের থানা থেকে ছাড়তে দুপুর থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চলে পুলিশের সাথে দফা-রফায় বৈঠক।প্রেমিক জুটির এ ঘটনাটি বর্তমানে “টক অব দ্যা চকরিয়া” পরিণত হয়েছে।
আটক প্রেমিক জুটির ব্যাপারে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, মালুমঘাট ষ্টেশন এলাকায় যে সব আবাসিক হোটেল রয়েছে তাদের প্রত্যেক মালিককে পরিষদের পক্ষথেকে অপরিচিত লোককে রুম ভাড়া দেয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে।কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের সত্যতা যাচাই না করে টাকার লোভে পড়ে অবৈধভাবে রুম ভাড়া দিয়ে দিনের পর দিন অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।ইতিপূর্বে ষ্টেশন এলাকার ওই সব হোটেল থেকে আরো কয়েকবার অনৈতিক কাজ করতে আসা বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ আটক করেন প্রশাসন।তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে দিকে স্বামী-স্ত্রী নয় এ ধরণের প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি দেখে স্থানীয় লোকজন আমাকে সংবাদ দেয়।বিষয়টি অবগত হয়ে পরিষদের কয়েকজন মেম্বার, চৌকিদার ও স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে মালুমঘাট ষ্টেশনের মুজিব বোডিংয়ে তল্লাসী করলে অনৈতিক কাজে জড়িত চারজন নারী-পুরুষকে দেখতে পাই।পরে থানার (এস.আই) আবদুল খালেক সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ওই হোটেল থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(ওসি) তদন্ত মো:ইয়াছির আরফাত বলেন,আবাসিক হোটেল থেকে দুপুরের দিকে চারজন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে।আটক ওইসব ব্যক্তিকে ওসি সাহেবের নির্দেশনা মোতাবেক ভ্রাম্যমান আদালতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।